জামাইকা মুসলিম সেন্টারের ফান্ড রেইজিংঃ ৪ লাখ ডলার সংগৃহিত
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:৫৯ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শনিবার

জ্যামাইকায় জেএমসির ভবন সম্প্রসারণ কাজের জন্য বিশেষ ফান্ড রেইজিংয়ে ৪ লক্ষাধিক ডলার সংগৃহিত হয়েছে। নিউইয়র্কে বাংলাদেশী মুসলিম কমিউনিটির সর্ববৃহৎ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার (জেএমসি) প্রতিষ্ঠার তিন দশক পরেও এর উন্নয়ন এগিয়ে চলছে। মূল ভবনটি চতুর্থ তলায় উন্নীত করতে শুরু হয়েছে সম্প্রসারণ কাজ। প্রায় তিন মিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজে প্রাথমিকভাবে এক মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছে। পুরো কাজ সম্পন্ন হতে প্রয়োজন আরো দুই মিলিয়ন ডলার। সম্পূর্ণভাবে মুসল্লিদের অনুদানে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত জেএমসির সম্প্রসারণ কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। সম্প্রসারণ কাজের জন্য অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে বিশেষ ফান্ড রেইজিংয়ের আয়োজন করা হয় লাগোর্ডিয়া ম্যারিয়ট হোটেলে গত ৬ সেপ্টেম্বর, শনিবার সন্ধ্যায়। আয়োজিত এই ফান্ড রেইজিংয়ে সাধারণ মুসল্লিসহ কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণী- পেশার শুভানুধ্যায়ীগণ অংশগ্রহণ করেন।
ফান্ড রেইজিংয়ে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেমোক্রেটিক প্রাইমারি বিজয়ী নিউইয়র্ক সিটি মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানী। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জেএমসির ইমাম শামসি আলী। প্রতিষ্ঠানটির সেক্রেটারি আফতাব মান্নান-এর উপস্থাপনায় স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন জেএমসি পরিচালনা কমিটির প্রেসিডেন্ট ডাঃ মাহমুদুর রহমান। ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠানের চেয়ারম্যান ছিলেন শাহরিয়ার রহমান। জেএমসির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডাঃ নাজমূল এইচ খান বিস্তারিত আলোচনা করেন সম্প্রসারণ কাজের অগ্রগতি প্রসঙ্গে। তিনি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জেএমসির প্রতিষ্ঠাতা ব্যক্তিবর্গকে। ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জেএমসি পরিচালনা কমিটি এবং সম্প্রসারণ কাজে যারা আর্থিক অনুদান প্রদান করে চলেছেন তাদের প্রতি। ভবন সম্প্রসারণ কাজে সম্পৃক্ত ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের সকলকে পরিচয় করিয়ে দেন জেএমসির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন তরুণ ইসলামী স্কলার ডঃ জাকির আহমেদ। তিনি ধর্মীয় শিক্ষা, মসজিদ প্রতিষ্ঠা ও তাতে তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিনিয়োগ করতে সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ডঃ জাকির আহমেদ। জেএমসির ইমাম মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ সমবেত অতিথিদের উদ্দেশ্যে ভবন সম্প্রসারণ কাজে মুক্ত হতে অনুদানের আহ্বান জানান। প্রতিষ্ঠানটির কল্যাণমূলক ও শিক্ষণীয় কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের শেষে দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ শেখ মুজাহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ ফকরুল ইসলাম দেলোয়ার।
জোহরান মামদানী তার বক্তব্যে জেএমসির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ধন্যবাদ জানান ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠানে তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। বিভিন্ন সময় এই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় ও ঈদের জামাতে আমি আপনাদের সাথে অংশ নিয়েছি। মামদানি বলেন, নিউইয়র্ক সিটি একক কোন ব্যক্তির নয়। এই মহানগরী সবার। তিনি বলেন, আমি বরাবরই প্যালেস্টাইন ইস্যুতে কথা বলেছি এবং এখনো বলছি। আমি ন্যায় বিচার সাম্য ও সকলের নিরাপত্তায় বিশ্বাসী। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্ধারণের এখতিয়ার রাখেন না। নিউইয়র্কবাসীই সিদ্ধান্ত নিবে কে হবেন সিটির পরবর্তী মেয়র। মুসলিম ভোটাররা নিউইয়র্ক সিটিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন বলে মন্তব্য করেন জোহরান মামদানি। অনুষ্ঠানে ভবন সম্প্রসারণ কাজের উপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
জেএমসির নতুন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় আরো ৫ হাজার ৬৫০ বর্গফুট আয়তন বাড়বে। ফলে বর্তমান ৯ হাজার ৮৪০বর্গফুট মিলে মোট আয়তন দাঁড়াবে ১৫ হাজার ৪৩৪ বর্গফুট।