১ অক্টোবর ভোটার আইডি’র আবেদন শুরু
মনোয়ারুল ইসলাম
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০১:৩৩ এএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শনিবার

১ অক্টোবর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভোটার হবার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কার্যত ‘জাতীয় পরিচয় পত্র’ এর জন্যই আবেদন করবেন প্রবাসীরা। এই পরিচয়পত্রই ভোটার আইডি হিসেবে বিবেচিত হবে। বাংলাদেশে আগামী ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে তাতে বিদেশে বসেই প্রবাসীরা ভোট দিতে পারবেন। নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন, লসএঞ্জেলস ও ফ্লোরিডায় এই পরিচয় পত্র প্রদানের লক্ষ্যে আবেদন গ্রহন শুরু হবে। বৃহস্পতিবার ৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোজাম্মেল হোসেন সাপ্তাহিক আজকালকে এ কথা বলেন। যারা দেশ থেকে ইতোমধ্যেই ন্যাশনাল আইডি/ জাতীয় পরিচয় পত্র সংগ্রহ করেছেন তাদের আবেদন করার দরকার নেই।
বিদেশে বসে নির্বাচনে এই প্রথম ভোট দিতে যাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। তাদের জন্য ব্যালট পেপার পাঠানো হবে নভেম্বরে। অর্থাৎ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণারও আগে। অর্ন্তবর্তি সরকারের ঘোষণা মতে, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফলে ডিসেম্বর নাগাদ তফসিল ঘোষণা হতে পারে। কিন্তু তফসিলেরও আগে ব্যালট পেপার পাঠানো হলে প্রার্থীর নাম কীভাবে দেওয়া হবে - এটা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নির্বাচনী কর্মকর্তারা বলছেন, প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছে যে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে তাতে কোনও প্রার্থীর নাম থাকবে না। নির্বাচন কমিশন অনুমোদিত প্রতীকসমূহ ব্যালট পেপারে অঙ্কিত থাকবে। প্রার্থী চূড়ান্ত হবার পর ভোট দিয়ে ডাকযোগে পাঠিয়ে দিতে হবে। ভোটের চিঠি ভোটের দিনে খোলা হবে।
বিদেশে প্রবাসী বাংলাদেশীর সংখ্যা কত তা নিয়ে মতভেদ আছে। সাধারনভাবে মনে করা হয় যে, দেড় কোটির মতো বাংলাদেশী বিদেশে থাকেন। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে তার আলোকে নভেম্বরে প্রবাসীদের কাছে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। কারণ এসব ব্যালট পেপারের মধ্যে ভোট দিতে কম সময় লাগলে ভোটের দিনে তা পৌঁছতে পারবে না। ভোটের সম্ভাব্য দিনক্ষন প্রশ্নে সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ফ্রেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহণের ৬০ দিন আগে আমরা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করব।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুসারে প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেওয়ার লক্ষ্যে তাদের নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রবাসী ভোটার তালিকা মুদ্রণ হবে ১-৫ ডিসেম্বর। আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রবাসীদের কাছে ব্যালট পাঠানো হবে। নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে তারা ভোট দিয়ে দেশে ব্যালট পেপার ফেরত পাঠাবেন।