মঙ্গলবার   ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫   ভাদ্র ১৭ ১৪৩২   ০৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০১:৫৬ এএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার

যুক্তরাষ্ট্র কোনো দলের পক্ষে নয় এমনটি জানিয়ে বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের আসন্ন সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু চায়।

 

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন। সিইসির সঙ্গে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক প্রধান ডেভিড মো ও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ফিরোজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

 

এর আগে, দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ইসি সচিব আখতার আহমেদ নিজে নিচতলায় প্রবেশপথে দূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনকে অভ্যর্থনা জানান। তার নেতৃত্বে কর্মকর্তাদের একটি দল মার্কিন প্রতিনিধিদলকে ওপরে সিইসির দপ্তরে নিয়ে আসেন।

 

ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বলেন, প্রথমেই আমি কেন্দ্রীয় ইসিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের আতিথেয়তা দেওয়ার জন্য। আমি আমার কিছু সহকর্মীকে নিয়ে এখানে এসেছি শুনতে, জানতে এবং বুঝতে। যেহেতু বাইরে অনেক গুজব ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে আছে, আমি খুব স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অবস্থান কী।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র

সেনাপ্রধানের রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে বিবৃতি

 

তিনি বলেন, আমরা অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এবং কেন্দ্রীয় ইসিকে সমর্থন করি, যাতে তারা আগামী বছরের শুরুর দিকে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের রূপরেখা নির্ধারণ করতে পারে। আমরা আশা করি, সেই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে এবং তা একটি সফল গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে, যা বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।

 

মার্কিন এই দূত বলেন, আমরা, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস কিংবা যুক্তরাষ্ট্র সরকার, কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। তবে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দেখা করি, তাদের নীতি ও লক্ষ্য বুঝতে। আমরা কোনো নির্দিষ্ট রাজনীতিবিদকেও সমর্থন করি না, তবে তাদের লক্ষ্য বোঝার জন্য তাদের সঙ্গে দেখা করি। আমরা কোনো নির্দিষ্ট নির্বাচনী ফলাফলও সমর্থন করি না। এটা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত এবং আমরা আশা করি আপনারা সফলভাবে সেটি সম্পন্ন করবেন।

 

গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এটাই ইসির সঙ্গে মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের প্রথম বৈঠক।