শনিবার   ১৬ আগস্ট ২০২৫   ভাদ্র ১ ১৪৩২   ২১ সফর ১৪৪৭

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে ভারতের লাভক্ষতি

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০১:৪৪ এএম, ১৬ আগস্ট ২০২৫ শনিবার


 
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন আজ শুক্রবার আলাস্কায় নিচ্ছিদ্র নিরপত্তা বেষ্টনির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠকে মিলিত হবেন। দুই নেতার বৈঠকের সফলতার ওপর নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্যের রপ্তানি শুল্কের পরিণতি। আলোচনা ব্যর্থ হলে ওয়াশিংটন ভারতের ওপর দ্বিতীয় দফার শুল্ক আরও বৃদ্ধি করতে পারে বলে সতর্ক করেছে। ভারত যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করেই যাচ্ছে। বৈঠকে উইক্রেন যুদ্ধের অবসান কিভাবে হবে তা গুরুত্ব পাবে।
মার্কিন ট্রেজারি মন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছেন, এ বিষয়টি পুরোটাই নির্ভর করছে শুক্রবারের আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠকের ওপর। ইতিমধ্যেই ভারতীয় পণ্যে দ্বিতীয় দফায় শুল্ক বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া থেকে তেল কেনার অভিযোগে এই শুল্কহার বৃদ্ধি করা হয়। এখন যদি পুতিনের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হয় তাহলে ভারতীয় পণ্যে নিষেধাজ্ঞা অথবা দ্বিতীয় ধাপের শুল্কহার আরও বৃদ্ধি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্কট। বুধবার ব্লুমবার্গ টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান তিনি। 
এদিকে অনলাইন বিবিসি জানায়, এ মাসের শুরুতে ভারতীয় পণ্যে পূর্বঘোষিত ২৫ ভাগ শুল্কের সঙ্গে সমপরিমাণ শুল্ক বৃদ্ধি করে ৫০ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যা এ মাসের শেষে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। মূলত রাশিয়ার তেল এবং অস্ত্র আমদানি করায় নয়াদিল্লির ওপর এমন সিদ্ধান্ত এসেছে। এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতার ভূমিকায় আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বুধবার ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, যদি মস্কো যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয় তাহলে তাদের গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পুতিনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন ট্রাম্প। এর আগে ফোনকলে কথা বলেন এ দুই নেতা। এছাড়া ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ একাধিকবার রুশ কমকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যার ধারাবাহিকতায় আজ আলাস্কায় বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন এ দুই নেতা। কিভাবে এই যুদ্ধের অবসান হবে তা নিয়ে আলোচনা করবেন তারা। 
প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাক্ষাৎ নিয়ে ইউরোপীয় নেতারা কিছুটা উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন বেসেন্ট। বলেছেন, দুই নেতার সাক্ষাৎ হচ্ছে, তবে তা কীভাবে হবে, কী করা উচিত তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ইউরোপীয় নেতারা। বেসেন্ট মনে করেন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে ইউরোপীয়দের যোগ দেয়া উচিত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে মস্কোর কাছ থেকে কম মূল্যে তেল আমদানি শুরু করে দিল্লি। যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কে টানাপড়েন স্পষ্ট হয়েছে। এছাড়া এই ইস্যু দুই দেশের বাণিজ্য আলোচনাও ব্যাহত করছে। ২০২১ সালে যেখানে রুশ তেল আমদানির পরিমাণ ছিল ৩ শতাংশ সেখানে ২০২৪ সালে আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশে। এর মাধ্যমে ভারত যে ব্যাপকভাবে উপকৃত হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।