নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই, বয়কটকারীরা রাজনীতি থেকে মাইনাস হয়ে যাবে
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:১২ এএম, ১৫ আগস্ট ২০২৫ শুক্রবার

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হবে, এবং যারা নির্বাচন বয়কটের পথে হাঁটবে, তারা জাতীয় রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়বে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, "নির্বাচন নিয়ে যারা বলছেন, দাবি পূরণ না হলে, সংস্কার না হলে, বিচার না হলে নির্বাচন হবে না— এসব হচ্ছে মাঠের বক্তব্য। বাস্তবতা হলো, নির্বাচন যথাসময়ে ফেব্রুয়ারিতেই হবে।"
সালাহউদ্দিন দাবি করেন, নির্বাচনের পরিবেশ ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে এবং জাতির সামনে এখন আর বিকল্প কোনো পথ নেই। "প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে ভাষণে জানিয়েছেন, যেসব সংস্কার প্রস্তাবে জাতীয় ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলোর বাস্তবায়নে পরবর্তী সংসদ পদক্ষেপ নেবে। আমরাও সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, আমরা জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করব।"
তিনি বলেন, "নির্বাচন নিয়ে সংশয় তৈরির চেষ্টা চলছে। কেউ চাইছে নির্বাচন বিলম্ব হোক, কেউ চাইছে অনিশ্চয়তা তৈরি হোক— কিন্তু জাতি এখন এসব প্রচেষ্টাকে চিহ্নিত করতে শিখেছে। তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।"
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, জনগণের দীর্ঘ আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত সবচেয়ে বড় অধিকার হলো ভোটাধিকার, এবং সেই অধিকার এখন ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা এ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের জনগণই প্রত্যাখ্যান করবে বলে তিনি মনে করেন।
বিএনপির নির্বাচনপন্থী অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, "আমরা ইতোমধ্যে দলের নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণ করেছি। আমরা তাদের সঙ্গেই জোট করব, যারা যুগপৎ আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে ছিল। গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতে চাই আমরা।"
এ সময় তিনি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির নির্বাচনী জোট গঠনের সম্ভাবনা একেবারে নাকচ করে দেন। বলেন, "বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আমাদের নির্বাচনী জোট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।"
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, "যারা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে নির্বাচন বয়কটের চেষ্টা করবে, তারা ভবিষ্যতে রাজনীতিতে জায়গা হারাবে। জনগণ এমন কোনো শক্তিকে আর গ্রহণ করবে না, যারা গণতন্ত্রের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।"