গাজা গণহত্যায় সবচেয়ে বেশি জড়িত যুক্তরাষ্ট্র: আয়ারল্যান্ডের
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০১:৩৩ এএম, ১৪ আগস্ট ২০২৫ বৃহস্পতিবার

আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রাক্তন হাইকমিশনার মেরি রবিনসন বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অবশ্যই বুঝতে হবে, তার দেশ গাজায় গণহত্যার সবচেয়ে বেশি জড়িত।
২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার প্রতিষ্ঠিত বৈশ্বিক নেতাদের 'এল্ডার্স গ্রুপ'র একটি প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে রাফাহ সীমান্ত ক্রসের মিশরীয় অংশ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য।
আল জাজিরা আরবি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, অগ্রহণযোগ্য এবং অযৌক্তিক অজুহাতে হাজার হাজার ত্রাণের ট্রাককে গাজায় প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, আমরা যে বাস্তবতা দেখেছি, তা হলো গাজায় দুর্ভিক্ষ এবং গণহত্যা চলছে। আমরা গাজায় গণহত্যা বন্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রচেষ্টায় ঝাঁপিয়ে পড়তে চাই।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির আন্তর্জাতিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েল ২০২৩ সাল থেকে গাজায় নৃশংস গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। অবিরাম বোমাবর্ষণে অঞ্চলটি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং খাদ্য সংকটে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, অঞ্চলজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে দেড় লাখের বেশি বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পরে এছেন।
চলতি বছরের শুরুতে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর ২৭ মে থেকে ইসরায়েল জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোকে এড়িয়ে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন-এর মাধ্যমে একটি পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করেছে। এতে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী ত্রাণ সম্প্রদায় ব্যাপকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হচ্ছে।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।