দিদারুলকে স্মরণ করলো বাংলাদেশ সোসাইটি
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:০০ এএম, ৯ আগস্ট ২০২৫ শনিবার

ম্যানহাটনে সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নিউইয়র্ক পুলিশ (এনওয়াইপিডি) কর্মকর্তা ডিটেকটিভ দিদারুল ইসলামকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করেছে বাংলাদেশ সোসাইটি। এ আয়োজনে দিদারুলের সাহসিকতার বর্ণনা, তার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়। পরে তাকে শ্রদ্ধা নিবেদনে প্রতিকৃতিতে ফুল অর্পণ ও মোমবাতিও প্রজ্জলন করা হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজার সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দিদারুলের বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা নিউইয়র্ক পুলিশ-এনওয়াইপিডির প্রতিনিধিরা, বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও কার্যকরি কমিটির সদস্যরা, কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সাধারণ মানুষসহ অগণিত মানুষ এ আয়োজনে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেনÑ দিদারুলের বাবা আব্দুর রব, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ, আজকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও সঙ্গীত শিল্পী রানো নেওয়াজ, সোসাইটির সহ সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান কামরুজ্জামান কামরুল, অনিক রাজ, রিজু মোহাম্মদ, হাসান জিলানী, হাসান শহীদ সোহরাওয়ার্দি ও হারুন চেয়ারম্যান সহ সোসাইটির অন্যান্য কর্মকর্তারা।
পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশি-আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশন বাপার সভাপতি সার্জেন্ট এরশাদুর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক ডিটেকটিভ রাসেক মালিক ও পুলিশ কর্মকর্তা সার্জেন্ট লতিফ প্রমুখ।
কমিউনিটি ব্যক্তিত্বের মধ্যে ছিলেন- এটর্নি মঈন চৌধুরী, ফকরুল আলম, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, কাজী সাখাওয়াত আজম, আহসান হাবীব, নাঈম টুটুল প্রমুখ।
ডিটেকটিভ দিদারুল ইসলামকে সম্মান জানানোর জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন তার বাবা আব্দুর রব। কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি তার সন্তানের মাগফেরাতের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ বলেন, দিদার শুধু বাংলাদেশের নয় পুরো আমেরিকার গর্ব। তার মতো একজন বীরের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারাও সম্মানের। সোসাইটিসহ কমিউনিটির মানুষজন তার পরিবারের পাশেই থাকবে।
সতীর্থ পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, কাপুরুষ হামলাকারি পার্ক অ্যাভিনিউর বহুতল ভবনে ঢুকে রাইফেল থেকে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে সাধারণ মানুষকে হামলা করছিল। মানুষের প্রাণ বাঁচাতে দিদারুল তখন সাহসিতকার সঙ্গে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হামলাকারীকে থামাতে চেষ্টা করেন। বন্দুকধারীর গুলিতে দিদারুল নিহত হন। তিনি চাইলে নিজের প্রাণ বাঁচাতে পারতেন। কিন্তু তিনিতো অন্যের প্রাণ বাঁচানোর ব্রত নিয়েছেন। তারা যে কোন প্রয়োজনে দিদারুলের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুত দেন।
অনুষ্ঠানের শেষের দিকে দিদারুলের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়ার আয়োজন করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন জ্যাকসন হাইটস ইসলামিক সেন্টারের ইমাম কাজী কাউয়ুম। পরে সন্ধ্যার পর শোকাহতরা উপস্থিতি দিদারুলের সম্মানে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্প স্তবক অর্পন করেন এবং মোমবাতি প্রজ্জলন করেন।