আমেরিকান পাসপোর্টধারী এক বাংলাদেশির ডিপোর্টেশন
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০১:৫৪ এএম, ২৬ জুলাই ২০২৫ শনিবার

প্রবাসী বাংলাদেশি আমেরিকান জাহিদ। জন্মস্থান বৃহত্তর ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জে। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউইয়র্কে বসবাস। বন্ধুবৎসল জাহিদ অনেক চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে আমেরিকায় বৈধতা পান। কমিউনিটির পরিচিত মুখ। অর্জন করেছেন আমেরিকান নাগরিকত্ব। পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন কুইন্সে।
বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরে ব্যবসা বানিজ্য শুরু করেছেন। অনেক অর্থ বৈভবের মালিক তিনি। নিউইয়র্কে আসা যাওয়ার মধ্যে রয়েছেন। এখন বছরের ৬ মাসই থাকেন ঢাকায়। সম্প্রতি তার ভাগ্যে বিড়ম্বণার খড়গ নেমে আসে। বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্ক আসছিলেন। জেএফকে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তাকে আটকে দেন। আমেরিকান পাসপোর্টধারী জাহিদ চ্যালেঞ্জ করেন। অফিসাররা কিছুই শুনতে নারাজ। ফেরত পাঠিয়ে দিলেন ঢাকায়।
তাকে এই ডিপোর্টের ঘটনা কমিউনিটিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আমেরিকান পাসপোর্ট থাকার পরও ডিপোর্ট করার ঘটনা প্রথম জনসন্মুখে এলো। এতদিন ভয়ভীতি ছিল গ্রীণকার্ডধারীদের। জাহিদের ডিপোর্টের ঘটনায় নতুন মাত্রা যোগ হলো।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবার পর থেকেই ইমিগ্রান্টদের ওপর খড়গ নেমে এসেছে। একের পর এক অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। ন্যচারালাইজড সিটিজেনরা কিভাবে নাগরিকত্ব পেয়েছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অতীতে অনেকেই একাধিক নামে এদেশে আইনগতভাবে বসবাস করার জন্য আবেদন করেছেন। এসাইলাম চেয়েছেন। নাম বদল করেছেন। তাদের নামে একাধিক সোশাল সিকিউরিটি নাম্বারও রয়েছে। পরবর্তীতে নানাভাবে অনেকেই এদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পেয়েছেন। পেয়েছেন নাগরিকত্বও। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা অতীত রেকর্ড খতিয়ে দেখা শুরু করেছেন। বিশেষ করে সন্দেহভাজনদের দিকেই নজর বেশি তাদের। যাদের গতিবিধি অস্বাভাবিক ও ক্রাইম রেকর্ড দৃশ্যমান তাদের খুঁটিনাটি দেখা হচ্ছে। অতীতে ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস প্রাপ্তিতে যারা ফ্রডের আশ্রয় নিয়েছেন তাদের কপালেই শনির দশা নেমে আসছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশি এটর্ণি মঈন চৌধুরী সবাইকে সতর্কভাবে চলাফেরা করতে পরামর্শ দিয়েছেন। ইমিগ্রান্ট কমিউনিটির নাজুক এই পরিস্থিতিতে কোন ধরনের অপরাধ ও অনিয়মে জড়ানো থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছেন তিনি।