শনিবার   ১৯ জুলাই ২০২৫   শ্রাবণ ৪ ১৪৩২   ২৩ মুহররম ১৪৪৭

ইয়ুথ ডেভেলপমেন্টের ওপেনিং সিরোমনি

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:৩০ এএম, ১৯ জুলাই ২০২৫ শনিবার


 
 
 
ফাউন্ডেশন ফর বেটার ওয়ার্ল্ড-এর উদ্যোগে ইয়ুথ ডেভেলপমেন্টের বর্ণাঢ্য এক ওপেনিং সিরোমনি অনুষ্ঠিত হয়েছে। জ্যাকসন হাইটস-এর সানাই রেস্টুরেন্টে গত ১১ জুলাই সন্ধ্যায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কমিউনিটির বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান বিষয়বস্তু ছিলো ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট। সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের হেড অব চ্যান্সেরি ইসরাত জাহান। গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন ‘আজকাল’ সম্পাদক ও গোল্ডেন এজ হোমকেয়ারের প্রেসিডেন্ট শাহ নেওয়াজ।  ‘কিনোট’ স্পিকার ছিলেন মন মাউথ ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. গোলাম মাতব্বর। সেমিনারে প্যানেলিস্ট ছিলেন অ্যাসালের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট এম এ এফ মিসবাউজ্জামান, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটসের প্রেসিডেন্ট শাহ শহীদুল হক। গেস্ট স্পিকার ছিলেন মামুন টিউটোরিয়ালের শেখ আল মামুন, খান’স টিউটোরিয়ালের ড. ইভান খান, আল নূর কালচারাল সেন্টারের মুফতি মোহাম্মদ ইসমাইল, ব্যাংকের বিজনেস স্পেশালিস্ট সিলভিয়া এবং আব্দুল কাদের। ইয়ুথ স্পিকার ছিলেন প্রিসিলা ফাতেমা, ইয়ুথ ডিরেক্টর ফারহান আব্দুর রহমান, জেনারেল সেক্রেটারি মালিহার রহমান, কো-অর্ডিনেটর রাইসা কইয়্যেবা, নাবিলা আহমেদ, চিফ কো-অর্ডিনেটর এস এম আবিদ ইবতিজহার, সাবেক বিচারপতি থমাস র‌্যাফায়েল, ডিরেক্টর শিউলি আক্তার এবং আতিকুর রহমান। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সোনিয়া।
সংগঠনের যুববিষয়ক পরিচালক ফারহান আব্দুর রহমানের একাগ্র চেষ্টায় বিভিন্ন স্কুল-কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়েছিলেন অনুষ্ঠানে। তারা মা-বাবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন উদারচিত্তে সহায়তার জন্য। কমিউনিটির সামগ্রিক কল্যাণে নিরন্তরভাবে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি ওম্যান জেনিফার রাজকুমার ‘ফাউন্ডেশন ফর বেটার ওয়ার্ল্ড’-এর প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান এবং পরিচালক ফারহান আব্দুর রহমানকে বিশেষ সম্মাননা সার্টিফিকেট (প্রক্লেমেশন) প্রদান করেছেন। 
ড. মাতবর ‘বিল্ড এ বেটার টুমরো টুগেদার’ সেøাগানে এই সেমিনারে ছিলেন মূল বক্তা এবং নিজের একমাত্র সন্তানের এগিয়ে চলার ব্যাপারটি দিয়েই উপস্থিত সকল তরুণ-তরুণীকে আশ্বস্ত করেন। কারণ, এই সেমিনারে অন্য বক্তারা অভিমত পোষণ করেছেন যে, বাংলাদেশি এবং দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ অভিভাবকই সন্তানের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য। তা না হলে সন্তানের জীবনটাই বৃথা বলেও অনেক অভিভাবক মনে করেন। এ ধরনের চাপে পড়ে অনেক সন্তানই বিব্রতবোধ করেন এবং নিজের মতো করে জীবন গড়ার স্বপ্ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। 
ড. গোলাম মাতবর বলেন, আমেরিকা হচ্ছে ভাগ্য গড়ার অপূর্ব একটি দেশ, যেখানে সকল পেশাতেই অসাধারণ সাফল্য দেখানো যায়। আয়-উপার্জনও অকল্পনীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অনেক আমেরিকানই বিভিন্ন সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। সব অভিভাবকেরই উচিত সন্তানের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেওয়া এবং সেজন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করা।