শনিবার   ১৯ জুলাই ২০২৫   শ্রাবণ ৩ ১৪৩২   ২৩ মুহররম ১৪৪৭

বিবিসি প্রতিবেদন

গোপালগঞ্জের ঘটনা `অশনি সংকেত`

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:০৩ এএম, ১৯ জুলাই ২০২৫ শনিবার

গোপালগঞ্জের ঘটনাকে 'অশনি সংকেত' বলছেন বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের নেতারা

  
 
জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি'র সমাবেশকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে সহিংতা ও হতাহতের ঘটনার পর এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে দেশের রাজনৈতিক মহলে। এই ঘটনায় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

গোপালগঞ্জে বুধবারের এই সংঘাত-সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত চার জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগ দাবি করেছে ৩০ জনের মৃত্যু।  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথমে ১৪৪ ধারা জারি করলেও তাতে কাজ না হওয়ায় বুধবার রাত আটটা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ দেয় সরকার। যা পরবর্তীতে আরো বাড়ানো হয়।

এই ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও। তারা বলছেন, গোপালগঞ্জের সহিংসতা কিংবা পুরোনো ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যার মতো ঘটনাগুলো দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
বুধবার রাতেই জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় গোপালগঞ্জের উদ্ভুত পরিস্থিতিকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করার নীলনকশা বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বিএনপি। রাজনৈতিক দলগুলোকে সর্তকতার সঙ্গে কর্মসূচি নির্ধারণের আহ্বানও জানিয়েছে তারা। বিএনপি নেতারা বলছেন, ফেব্রুয়ারিতে প্রতিশ্রুত সংসদ নির্বাচনকে ব্যাহত করতে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। মব, হত্যা, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ইত্যাদি অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গোপালগঞ্জে সহিংসতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই দিচ্ছেন কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সও। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "আমি গোপালগঞ্জের ঘটনা নিয়ে সরকারেরই দায় দেখি। সরকারের দায়িত্বহীন আচরণই এখানে সামনে চলে এসেছে। দেশের স্বাভাবিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে বাঁধাগ্রস্ত করতে নানা অপচেষ্টা চলছে, যা এই ঘটনার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে বলেও মনে করেন রুহিন হোসেন প্রিন্স।
এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ফিরে আসার পথ তৈরি হচ্ছে বলেই মনে করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। "আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উৎসাহ যোগাবে এই ঘটনা," বলেন তিনি। এনসিপি নেতাদেরকেও গোপালগঞ্জের ঘটনার দায় দিচ্ছেন মি. হক। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "তারা অন্যগুলোয় যাচ্ছে গণসংযোগ, গণসমাবেশ এটাতে নাম দিয়েছে মার্চ টু গোপালগঞ্জ, পরোক্ষাভাবে এক ধরনের উস্কানি এর মধ্যে কাজ করছে।"
গোপালগঞ্জের ঘটনায় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতিকেই দায়ি করছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। এই ঘটনা জাতির জন্য অশনি সংকেত বলেই মনে করেন মি. পরওয়ার। তিনি বলছেন, "শুধু শেখ হাসিনা চলে গেলেই যে ফ্যাসিবাদ চলে গেছে, তা নয়- তার দল, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, যুবলীগ এখনো রয়ে গেছে।"