সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য জামাইকা
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:২৮ এএম, ১২ জুলাই ২০২৫ শনিবার

#আবারও বাংলাদেশি ব্যবসায়ি রক্তাক্ত
জ্যামাইকা হিল সাইডে আবারও এক বাংলাদেশির ওপর হামলা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। জ্যামাইকা হিলসাইডের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ি মাসুমকে বুধবার রাত ১০টায় ৬-৭ জন দুর্বৃত্ত ঘিরে ধরে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি দোকান থেকে এ সময় নিজ বাসায় ফিরছিলেন। স্থানীয় ভুক্তভোগিরা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, এমন সহিংস ঘটনা দিনের পর দিন জ্যামাইকা এলাকায় বাড়ছে। তবে অনেক ভুক্তভোগি পুলিশি ঝামেলা এড়াতে নানা ঝামেলার ঘটনার পর সবকিছু চেপে যান। জ্যামাইকা ১৬৯ স্ট্রিটে এই ঘটনার কয়েকদিন আগেই ট্রাফিক সিগন্যাল ভঙ্গ করে গাড়ী ঘুরাবার সময় চালকের দায়িত্বহীনতায় গাড়ির নিচে পড়ে আহত হন একজন বাংলাদেশি বৃদ্ধ (৬৯)। তিনি সিলেট এলাকার বাসিন্দা এবং জ্যামাইকা হিল সাইডে ছেলের বাসায় বসবাস করেন। রাস্তা পার হবার সময় একটি বেপরোয়া গাড়ী সিগনাল অমান্য করে দ্রুত গতিতে গাড়ীটি ঘুরাবার সময় ওই পথচারি বৃদ্ধের ওপর উঠিয়ে দিলে প্রধান সড়কেই তিনি আহত হন। হিলসাইড এলাকায় রাতে গাড়ী পার্কিং করা ঝুকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন অনেক ভুক্তভোগি।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদি হাসান ‘আজকাল’কে বলেন, জ্যামাইকা হিল সাইডের ১৬৪ স্ট্রিট থেকে শুরু করে ১৭০ স্ট্রিট পর্যন্ত রাস্তার ওপর ডাবল পার্র্র্কিং করায় মানুষ চলাচলে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফুটপাথে ঠাসা থাকে দোকানের পসরা, রেস্টুরেন্টে বাসি খাবার বিক্রি, পাশেই সারিসারি ডাবল পার্কিং করা গাড়ী, ময়লা আবর্জনায় দুর্গন্ধময় পরিস্থিতি প্রতিদিন মোকাবিলা করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষভাবে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। যেখানে মোবাইল ফোন ব্যবসায়ি মাসুমকে আহত করা হয়েছে সেই এলাকায় ২০২৪ সালে দুর্বৃত্তদের হামলায় দুইজন বাংলাদেশি নিহত হন বলে জানা যায়। তাদের একজন আহত অবস্থায় দীর্ঘদিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েন। তিনি হামলাকারী এক দুর্বৃত্ত দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে স্থানীয় সেলুনে (মান্নান গ্রোসারির পাশে) আশ্রয় নিলে তাকে দেখতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছিলেন। এলাকায় গাড়ী চুরি, গাড়ীর চাকা খুলে নেয়ার মতো ঘটনা অহরহ ঘটছে। ভুক্তভোগিরা জানান, এসব নিয়ে পুলিশকে জানালে দ্রুত কোন সাড়া মিলছে না। জ্যামাইকা কমিউনিটিতে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন থাকলেও তারাও কোন সেবামূলক কর্মসূচির উদ্যোগ নেন না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে রাতে গাড়ী পার্কিং করে বাসায় ফেরার পর সবাইকে উদ্বিগ্ন অবস্থায় থাকতে হয়। পরদিন অক্ষত অবস্থায় গাড়ীটি পাওয়া যাবে কি-না। জ্যামাইকার ভুক্তভোগিরা অচিরেই এই অবস্থা থেকে মুক্তি কামনা করেন।