বুধবার   ০৯ জুলাই ২০২৫   আষাঢ় ২৪ ১৪৩২   ১৩ মুহররম ১৪৪৭

বিধিবহির্ভূত পদায়ন ২৫৭ সহকারী প্রকৌশলীর

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:৪২ এএম, ৯ জুলাই ২০২৫ বুধবার

এলজিইডি প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে নিয়মিতকরণ

এলজিইডির প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত ২৫৭ জন সহকারী প্রকৌশলীর পদায়ন, নিয়মিতকরণ ও পদোন্নতিকে বিধিবহির্ভূত হিসাবে উল্লেখ করেছে এ সংক্রান্ত তদন্ত কমিটি। এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রযোজ্য বিধিবিধান অনুসরণ করেনি। এমনকি তাদের মধ্যে পাঁচজনের নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতাও নেই। শুধু তাই নয়, অনুমোদিত জ্যেষ্ঠতা তালিকা ছাড়াই দেওয়া হয়েছে তাদের পদোন্নতিও। হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বিগত সরকারের ১৫ বছরে প্রকল্প থেকে ২৫৭ সহকারী প্রকৌশলীর চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর ও নিয়মিতকরণের অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছিলেন হাইকোর্ট। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৭ মে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়। এরপর ২ ও ৩ জুলাই প্রতিবেদনটির ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আজ আরও শুনানির জন্য তারিখ ধার্য আছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পের কর্মচারীদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর ও নিয়মিতকরণের জন্য প্রযোজ্য বিধিবিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম গ্রহণের কোনো নির্দেশনা আদালত দেননি। পরবর্তী সময়ে একইভাবে দায়ের করা অন্যান্য রিট পিটিশনের অনুকূলে ঘোষিত রায়েও একই আদেশ দেওয়া হয়। ফলে উল্লিখিত ২৫৭ জন সহকারী প্রকৌশলীর চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর/পদায়ন ও চাকরি নিয়মিতকরণের ক্ষেত্রে বিধিবিধান মেনেই কার্যক্রম গ্রহণের বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এসব সহকারী প্রকৌশলীর চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধিবিধান অনুসরণ করা হয়নি। একই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের (২৫৭ জন) রাজস্ব খাতের সহকারী প্রকৌশলী পদে পদায়ন ও নিয়মিত করা হয়, যা পদ্ধতিগতভাবে ত্রুটিপূর্ণ ও বিধিবহির্ভূত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ‘এলজিইডির নিয়োগবিধি তছনছ’ শিরোনামে যুগান্তরে গত বছরের ২৮ অক্টোবর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরবর্তী সময়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার আরিফ চৌধুরি ও ব্যারিস্টার উম্মে আইমান জেনিব স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। পরে এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে ৯ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরি ও বিচারপতি রাশেদুজ্জামান রাজার দ্বৈত বেঞ্চ প্রকল্প থেকে ২৫৭ জনকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংঘটিত অনিয়মের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রতিবেদন দাখিলের এই আদেশ দেন। এরপর আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বর্তমানে সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়) মাহবুব-উল-আলমকে আহ্বায়ক করে ৬ সদস্যবিশিষ্ট উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। এলজিইডির একজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত এই তদন্ত কমিটি ৩ মাসের অধিক সময়ে নথিপত্র পর্যালোচনা করে প্রতিবেদনটি ৩০ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠায়। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তদন্ত প্রতিবেদনটি অনুমোদন করে পরবর্তী কার্যক্রম নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আইন শাখায় পাঠান। এরপরই দীর্ঘ তদন্ত প্রতিবেদনটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আইন-৩ শাখার স্মারক উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনালের কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২০১০ সালে ১৩১ জন, ২০১১ সালে ১০৯ এবং ২০১৩ সালে ১৭ জনকে প্রকল্প থেকে সহকারী প্রকৌশলী পদে রাজস্ব খাতে পদোন্নতিসহ পদায়ন দেওয়া হয়। অথচ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও সরকারের অর্থ বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। অভিযোগ হচ্ছে-এসব প্রকৌশলীকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে এলজিইডির নিয়োগ বিধিমালা ও জনপ্রশাসন বিধি অনুসরণ করা হয়নি। এমনকি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) সুপারিশ ছাড়াই ১ম শ্রেণি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাছাড়া তাদের মধ্যে অনেকেরই প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও ১ম শ্রেণির সহকারী প্রকৌশলী (পুর.) পদে পেয়েছেন চাকরি। অর্থ বিভাগের মতামত ছাড়া ২৫৭ জনকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর ও প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়া ওই নিয়োগের বিষয়ে দুটি অডিট আপত্তিও রয়েছে।

এলজিইডির তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রশাসন) মোহা. শরীফ উদ্দীন স্বাক্ষরিত পত্রে দেখা যায়, এলজিইডিতে সর্বশেষ ২০০৮ সালে জ্যেষ্ঠতা তালিকা অনুমোদন ও প্রণয়ন করা হয়। জনপ্রশাসন বিধিমালা অনুযায়ী, অনুমোদিত জ্যেষ্ঠতা তালিকা অনুসরণ ছাড়া পদোন্নতির বিধান নেই। অথচ অনুমোদিত জ্যেষ্ঠতা তালিকা না থাকলেও প্রকল্প থেকে আসা সহকারী প্রকৌশলীদের ষষ্ঠ গ্রেডের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী (পুর.) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

আদালতে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনটির ওপর ২ ও ৩ জুলাই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট শিশির মনির, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, সিনিয়র অ্যাডভোকেট বিএম ইলিয়াস কচি, ব্যারিস্টার ফারজানা শারমিন পুতুল তদন্ত প্রতিবেদনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। পরে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরি ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের দ্বৈত বেঞ্চ জনপ্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদন রাষ্ট্রপক্ষের মতামতসহ জমা দেওয়ার আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষ তদন্ত প্রতিবেদনের মোট পাঁচটি পর্যবেক্ষণই সঠিক বলে মতামত দেয়।

ওই তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মচারীদের নিয়মিতকরণ ও জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় পদ্ধতি নির্দিষ্ট করে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় (বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) ২০০৫ সালে বিধিমালা জারি করে। এ বিধিমালার বিধি ৪(৩) অনুযায়ী কর্ম কমিশনের আওতাভুক্ত কোনো পদে কমিশনের সুপারিশক্রমে নিয়মিত করতে হবে। বিধি ৫(১)-এর বর্ণনানুযায়ী এই বিধিমালার অধীন নিয়মিতকৃত কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে তাদের চাকরি নিয়মিতকরণের তারিখ থেকে গণনা করা হবে। ওই বিধিমালার অধীনে নিয়মিতকৃত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের তারিখ স্পষ্টীকরণের জন্য ২০১০ সালের ১১ অক্টোবর তৎকালীন সংস্থাপন মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে। এ পরিপত্রে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, প্রকল্পের কোনো কর্মচারীকে ভূতাপেক্ষ তারিখ থেকে নিয়মিতকরণের সুযোগ নেই এবং নিয়মিতকরণের সঙ্গে জ্যেষ্ঠতার বিষয় জড়িত রয়েছে বিধায় ভূতাপেক্ষ তারিখ থেকে জ্যেষ্ঠতা গণনা করারও সুযোগ নেই। পরিপত্রের এ ব্যাখ্যার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়-এমন সব নিয়মিতকরণের আদেশ সংশোধন করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগ ২৫৭ জনের চাকরি নিয়মিতকরণ ও জ্যেষ্ঠতা গণনার ক্ষেত্রে এ বিধিমালা এবং বিধিমালার স্পষ্টীকরণ সংক্রান্ত পরিপত্র অনুসরণ করেনি। তাই তদন্ত কমিটির সদস্যরা এ প্রসঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেন যে, নিয়মিতকরণের প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ না করায় এই ২৫৭ জনের চাকরি নিয়মিতকৃত হয়েছে মর্মে বিবেচনা করার অবকাশ নেই। নিয়মিতকরণ যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়নি বিধায় ত্রুটিপূর্ণ প্রজ্ঞাপনের শর্তানুযায়ী ২৫৭ জনের জ্যেষ্ঠতা গণনা করারও সুযোগ নেই। এমনকি তাদেরকে ৭ম গ্রেডে সিলেকশন গ্রেড প্রদান এবং ষষ্ঠ গ্রেডে পদোন্নতি প্রদান করারও আইনগত সুযোগ ছিল না। যদিও স্থানীয় সরকার বিভাগ সব বিধিবিধান পাশ কাটিয়ে আদালতের রায়ের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ২৫৭ জনকে বিধিবহির্ভূত প্রক্রিয়ায় নিয়মিতকরণসহ পদোন্নতি প্রদান করেছে। সংস্থাপন মন্ত্রণালয় (বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়)-এর জারীকৃত নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ও কর্মচারী (জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি) বিধিমালা, ২০১১ অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত জ্যেষ্ঠতা তালিকা ব্যতীত কোনোরূপ পদোন্নতি প্রদান করা যাবে না। যেহেতু ২৫৭ জনের নিয়মিতকরণ ও জ্যেষ্ঠতা প্রদান বিধিসম্মত হয়নি, তাই তাদেরকে যে পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে, সেটিও আইনসম্মত হয়নি।

অনিয়মের বিষয়ে ৫ পর্যবেক্ষণ : এ সংক্রান্ত কমিটির দীর্ঘ তদন্ত প্রতিবেদনে মতামতসহ ৫টি পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে-১. এলজিইডির বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ২৫৭ জন সহকারী প্রকৌশলীকে রাজস্ব খাতের শূন্য পদে পদায়নের আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি/সম্মতি গ্রহণ করা হয়নি। হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং-১৫২২/২০০৪-সহ মোট ১০০টি সমপ্রকৃতির মামলার আদেশ অনুযায়ী তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে পদায়ন ও নিয়মিতকরণের প্রজ্ঞাপন জারির আগে অর্থ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতিগ্রহণ বাধ্যতামূলক। ২. তিনটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২৫৭ জনের চাকরি রাজস্ব খাতে পদায়ন ও নিয়মিতকরণ করা হয়। রাজস্ব খাতে পদায়নের আদেশ জারির পর বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন (পরামর্শ) প্রবিধানমালা, ১৯৭৯ অনুযায়ী কমিশনের পরামর্শ গ্রহণের বিধিগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২০০৪ সালে নিয়মিতকৃত ৯৫ জনের ক্ষেত্রে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মতামত গ্রহণ করা হলেও ২৫৭ জনের ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব বাজেটে স্থানান্তরিত পদের পদধারীদের নিয়মিতকরণ ও জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ বিধিমালা, ২০০৫ এবং এর স্পষ্টীকরণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১০ সালের ১১ অক্টোবর প্রকাশিত পরিপত্রের নির্দেশনা সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করে স্থানীয় সরকার বিভাগ তাদের একই প্রজ্ঞাপনে পদায়ন ও নিয়মিতকরণ করে। ৩. এলজিইডির প্রথম শ্রেণির প্রকৌশলীদের প্রথম জ্যেষ্ঠ তালিকা ২০০৮ সালে প্রণয়ন করা হয় কিন্তু এটা চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে এই জ্যেষ্ঠতা তালিকার ভিত্তিতেই এলজিইডিতে বিভিন্ন পদে পদোন্নতি প্রদান করায় এটি এখন কার্যত আইনে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে ২৫৭ জনের নিয়মিতকরণ ও জ্যেষ্ঠতা গণনার যে শর্ত সংশ্লিষ্ট তিনটি প্রজ্ঞাপনে বর্ণিত হয়েছে, সেগুলো যথাযথ হয়নি বিধায় তাদেরকে পদোন্নতি প্রদানের আইনগত সুযোগ না থাকার পরও পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে। ৪. স্থানীয় সরকার বিভাগের ২০১০ সালের ৫ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন দ্বারা পদায়িত/নিয়মিতকৃত ১৩১ জনের মধ্যে ৩৩ জন এবং ২০১১ সালের ২৫ আগস্টের প্রজ্ঞাপন দ্বারা পদায়িত ১০৯ জনের মধ্যে ৩ জনসহ ৩৬ জনের চাকরির ধারাবাহিকতা ছিল না। অর্থাৎ তারা সেসময় কর্মরত ছিলেন না। অথচ প্রকল্পের কর্মচারীদের রাজস্ব খাতের পদে নিয়মিতকরণ ও জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ বিধিমালা, ২০০৫-এর বিধি ৪(১) (খ) অনুযায়ী প্রকল্পের কর্মচারীদের চাকরির ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। তাদের পক্ষে রিট মামলার রায় থাকায় এলজিইডি তাদের রাজস্ব খাতে পদায়ন/নিয়মিতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং ৫. স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিয়োগ বিধিমালা, ২০০৯ অনুযায়ী সহকারী প্রকৌশলী (পুর) পদের জন্য নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা পুরকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি হওয়া সত্ত্বেও ১০৯ জন সহকারী প্রকৌশলীর মধ্যে ৫ জনের নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল না। তাদের মধ্যে ৩ জন বিএসসি ইন অ্যাগ্রিকালচার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ২ জন বিএসসি ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিপ্রাপ্ত। এক্ষেত্রে নিয়োগবিধিতে বর্ণিত নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও তাদের পদায়ন/নিয়মিতকরণ এবং পরবর্তী সময়ে পদোন্নতি প্রদান করায় নিয়োগবিধিতে বর্ণিত বিধানকে অনুসরণ করা হয়নি।