নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
মনজুর আহমদ
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৩:১৩ এএম, ৫ জুলাই ২০২৫ শনিবার

একটা প্রশংসনীয় কাজ করেছে কৃষ্টি। তিন দিনের এক নাট্যেৎসবের চমৎকার আয়োজন করেছিল তারা গত সপ্তাহে শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত জ্যামাইকার জেসিএএল মিলনায়তনে। প্রতিদিন দুটি করে মোট ছয়টি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে এই উৎসবে। হয়েছে নাটক নিয়ে সেমিনার।
তবে আমার মনে হয়েছে, কৃষ্টি সবচেয়ে বড় কাজ যেটি করেছে তা হলো নাট্যকর্মীদের এক অভূতপূর্ব মিলনমেলার আয়োজন। এ মিলনমেলা ছিল ভিন্নধর্মী, ভিন্ন অঙ্গিকের। এই প্রবাসে, এই নিউইয়র্কে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে যারা বাংলা নাট্যচর্চায় নিবেদিতভাবে কাজ করে চলেছেন এক মঞ্চে তুলে যথাযোগ্য মর্যাদায় তাদেরকে সম্মাননা জানান হয়েছে। যে সব নাট্য সংগঠন নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে বাংলা নাট্য চর্চাকে এগিয়ে নিতে সেই সব সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকা নাট্যজনদের প্রতি নিবেদন করা হয়েছে শ্রদ্ধা। প্রবাসের নাট্য আন্দোলনে তাদের অবদানের প্রতি এমন স্বীকৃতি নাট্য উৎসবকে মহিমান্বিত করেছে। মঞ্চে আহ্বান জানান হয়েছিল নিউইয়র্কের প্রাচীণতম নাট্য সংগঠন বাংলাদেশ থিয়েটার অব আমেরিকার স্বপ্না কাওসারকে, থিয়েটার সাপোর্ট গ্রুপের শামসুল আলম বকুল, ঢাকা ড্রামার টিটু গাজী, থিয়েটার ৭১-এর খায়রুল আলম পাখি, থিয়েটার থিয়েটারের মিথুন আহমেদ, ড্রামা সার্কলের আবীর অলমগীর, শিল্পাঙ্গনের নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ থিয়েটার আর্কাইভের ড. বাবুল বিশ্বাস এবং নিউইয়র্কে অবস্থানরত ঢাকার নাট্য ব্যক্তিত্ব রোকেয়া রফিক বেবী, মাসুম রেজা ও মোমেনা চৌধুরীকে। একই সাথে পুষ্পস্তবক ও উত্তরীয়তে ভূষিত করে শ্রদ্ধা-ভালবাসায় ভরিয়ে তোলা হয় প্রবাসের দুই প্রবীণতম নাট্য ব্যক্তিত্ব রেখা আহমেদ ও মুজিব বিন হককে। এই পুরো আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রবাসের নাট্যজনদের সম্মানিত করার এই উদ্যোগ ব্যক্তিগতভাবে আমাকে আপ্লুত করেছে। কৃষ্টির কর্ণধার শীতেস ধরকে আমার অভিনন্দন।
নাট্য উৎসবটি উৎসর্গীত ছিল বাংলাদেশের ভিন্ন ধারার নাটকের এক অক্লান্ত যোদ্ধা অকাল প্রয়াত ইশরাত নিশাতের স্মরণে। ইশরাত নিশাত দুবার নিউইয়র্কে এসেছিলেন দুটি নাটকের নির্দেশনা দিতে। এখানে তিনি মঞ্চস্থ করে গেছেন হাসন রাজা। বিভিন্ন বক্তা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তার প্রতি। উৎসবের উদ্বোধন করেন আইটিআই বাংলাদেশ সেন্টারের সভাপতি অধ্যাপক আবদুস সেলিম। সংবর্ধিত নাট্যজনেরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।