বুধবার   ২৫ জুন ২০২৫   আষাঢ় ১১ ১৪৩২   ২৮ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

মোবাইল ব্যাংকিং, ব্যাংক কার্ড দিয়ে কাটা যাবে মেট্রোরেলের টিকিট

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:৪১ এএম, ২৫ জুন ২০২৫ বুধবার

মেট্রোরেলের যাত্রীদের ভাড়া পরিশোধ আরও সহজ ও বিস্তৃত করার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ইউনিভার্সেল টিকেটিং সিস্টেম (ইউটিএস) নামক নতুন এই ব্যবস্থায় মোবাইল ব্যাংকিং এবং ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার (পাঞ্চ) করেও ভাড়া পরিশোধ করা যাবে।

ডিএমটিসিএল সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নতুন টিকিট ব্যবস্থা চালুর জন্য ইতোমধ্যে প্রাথমিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এতে ৩০টির মতো প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে।

সকল প্রক্রিয়া শেষ করে গ্রাহককে এই সেবা দিতে অন্তত ছয় মাস লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বর্তমানে যে পদ্ধতিতে মেট্রোরেলের ভাড়া আদায় করা হচ্ছে সেটি “ক্লোজ লুপ”। এটি ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড বা অন্য কোনো ব্যবস্থা কাজ করে না। এটি শুধু জাপানের সনি কোম্পানির কার্ড পড়তে (রিডিং) পারে। ফলে নতুন ব্যবস্থায় ভাড়া আদায়ের জন্য মেট্রোরেল স্টেশনগুলোয় নতুন কিছু যন্ত্র বসানো হবে। সেগুলোতে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড পাঞ্চ করে ভাড়া দেওয়া যাবে।

প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউটিএস ব্যবস্থায় যাত্রীরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে একক যাত্রার কার্ড কিনতে পারবেন। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অ্যাপের মাধ্যমে যেভাবে বিভিন্ন পণ্য কেনা হয়, সেভাবে টিকিট কেনা যাবে। নির্দিষ্ট দূরত্বে ভ্রমণের টাকা পরিশোধ করলে গ্রাহক একটা কিউআর কোড তার মোবাইল ফোনে পাবেন। সেটি স্টেশনে ঢোকা ও বের হওয়ার সময় যন্ত্রে ধরতে (স্ক্যান) হবে।

এ বিষয়ে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোকে বলেন, “ভারত, সিঙ্গাপুর, হংকংসহ অনেক দেশে এ ব্যবস্থা চালু আছে। যাত্রীসংখ্যা বাড়ানো এবং যাত্রীদের সহজে সেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই নতুন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।”

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও পরিবহনবিশেষজ্ঞ সামছুল হক বলেন, “মেট্রোরেলের ভাড়া পরিশোধের ব্যবস্থা যতটা বিস্তৃত করা যায় ততটাই ভালো। মানুষ কার্ড চাইছে আর কর্তৃপক্ষ বিক্রি করতে পারছে না- এর মতো বাজে দৃষ্টান্ত তো হতে পারে না। কর্তৃপক্ষ নতুন যে ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে, তা সফল হলে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমবে।”