গাজাকে ‘সম্পূর্ণ অন্ধকারে’ ঠেলে দিল ইসরাইল
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৮:২২ পিএম, ১২ জুন ২০২৫ বৃহস্পতিবার

দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজার শেষ অপটিক্যাল ফাইবার লাইনটিও ধ্বংস করেছে।এতে পুরো গাজা উপত্যকায় ইন্টারনেট ও ল্যান্ডলাইন যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা একে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন, যার উদ্দেশ্য গাজার জনগণকে ‘ডিজিটালি অন্ধ’ করে দেওয়া।
ফিলিস্তিনি টেলিকম নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (পিটিআরএ) বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গাজায় ফাইবার নেটওয়ার্কের শেষ প্রধান রুটকে টার্গেট করার ফলে ইন্টারনেট ও ল্যান্ডলাইন যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে। এই ব্ল্যাকআউটের জন্য দখলদার ইসরাইলি বাহিনী পুরোপুরি দায়ী’।
কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, এটি গাজার টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে একটি ধারাবাহিক ও পরিকল্পিত হামলার অংশ। যার উদ্দেশ্য গাজার জনগণের কণ্ঠরোধ এবং তাদের সম্পূর্ণভাবে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া।
মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত
এ ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন গাজায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ধারাবাহিক ইসরাইলি বিমান হামলায় গাজার টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এ ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন। কারণ এতে:
• বেসামরিক মানুষ আরও ঝুঁকির মুখে পড়ছে;
• জরুরি সেবার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে;
• চলমান গণহত্যার স্বাধীনভাবে নথিভুক্তিকরণ ব্যাহত হচ্ছে।
গণহত্যার মূর্ত চিত্র
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অব্যাহত ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময়ে আহত হয়েছেন ৪২৭ জন।
এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজায় এ পর্যন্ত ৫৫,২০৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ১,২৭,৩৯৪ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস তাদের মৃতের সংখ্যা ৬২,০০০-এরও বেশি বলে উল্লেখ করেছে। জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার মানুষ মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, এটি আধুনিক ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। সূত্র: আল-মায়াদিন