খোলা ট্রাক-পিকআপে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৩:০৪ এএম, ৫ জুন ২০২৫ বৃহস্পতিবার

আর মাত্র দুদিন পরেই কোরবানির ঈদ। ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে নাড়ির টানে বাসের ছাদসহ ট্রাক ও পিকআপভ্যানে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ। এতে করে ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও মহাসড়কে নেই চিরচেনা সেই যানজট।
বুধবার (০৪ জুন) ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্টেশন, রাবনা বাইপাস, আশেকপুর বাইপাস ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। যাত্রীবাহী বাস ছাড়াও ট্রাক, পিকআপ, বিভিন্ন সড়কের লোকাল বাস, লেগুনায় যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। মহাসড়কে বাসের চেয়ে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলেই বেশি দেখা গেছে। এ ছাড়া বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছে যাত্রীদের।
যাত্রীরা পরিবহন করছে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার। গণপরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক-পিকআপ ও বাসের ছাদে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে।
এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের গোড়াই থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত প্রায় ৬৫ কিলোমিটার সড়কে সার্বিক নিরাপত্তায় ও ঈদযাত্রা স্বস্তি দায়ক করতে জেলা পুলিশের প্রায় ৬ শতাধিক সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছে।
মিরপুর থেকে আসা বাসের যাত্রী সুমন খান এবং আবিদ খান বলেন, মিরপুর থেকে চন্দ্রা আসতেই ৪ ঘণ্টা লেগে গেছে। আবার চন্দ্রা থেকে থেকে কালিয়াকৈর পর্যন্ত যানজট। এই যানজটে বেশ ভোগান্তি হয়েছে। তবে মির্জাপুর থেকে টাঙ্গাইলে আসতে কোনো যানজটে পড়তে হয় নাই।
জসীমউদ্দীন নামে আরেক যাত্রী বলেন, চন্দ্রা থেকে আগে টাঙ্গাইল আসতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা লাগতো। আজকে চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইল আসলাম ২০০ টাকা দিয়ে। তাছাড়া অনেক সময় দাঁড়িয়ে থেকে বাস পেয়েছি।
আরেক যাত্রী কামরুল হাসান বলেন, টাঙ্গাইল রাবনা বাইপাসে প্রায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি। কোনো গাড়ি থামছে না। আমি নিজ এলাকায় বগুড়া যাব। গাড়ি থামলেও ভাড়া বেশি চাচ্ছে। আগে বগুড়া যেতাম ২০০ টাকা দিয়ে আজ ৪০০ টাকা চাইতেছে।
সিরাজগঞ্জের আবুল কালাম আজাদ এবং বগুড়া আব্দুল লতিফ বলেন, বাস না পেয়ে ট্রাকে করে যাচ্ছি। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে পারব এটাই বড় আনন্দ। অনেকেই বাস না পেয়ে ট্রাক ও পিকআপে করে যাচ্ছে। বাসে দ্বিগুণ ভাড়া চাচ্ছে। এইজন্য ট্রাকে করে যাইতেছি।
জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, এখন পর্যন্ত ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ বাড়ি যেতে পারছে। তবে আগের তুলনায় মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।