শনিবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ৫ ১৪৩২   ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

নিরাপদ ড্রাইভিংয়ে সহায়তা করবে বিশেষ চশমা

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:৫৫ পিএম, ৮ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার

জানেন কি, বাংলাদেশের অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে রাতে? এ দুর্ঘটনা ঘটার অন্যতম কারণ সামনের গাড়ির হেডলাইট থেকে আসা উজ্জ্বল আলোর প্রতিবিম্ব, যা কিনা অন্য পাশের গাড়ির চালকের দেখার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। আর রাতে ভালোভাবে পথঘাট ও যানবাহনের গতি বুঝতে না পারলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে।

সম্প্রতি চশমা তৈরির প্রযুক্তি উন্নত হওয়ায় রাতে গাড়ি চালানো হবে আরো সহজ ও নিরাপদ। প্রযুক্তির মাধ্যমে এমন একটি চশমা তৈরি করা হয়েছে, যা রাতে গাড়ি চালানোর সময় এক্স-রে ভিশন দেবে। অর্থাত্ এ চশমা পরার পর সামনের গাড়ির হেডলাইট, ল্যাম্পপোস্ট ও যেসব আলোর প্রতিবিম্বর কারণে সামনের বস্তুটিকে দেখা যায় না, সেসব আলো, অন্ধকার, কুয়াশা ইত্যাদি প্রতিকূলতার মধ্যেও পথঘাট অনেক বেশি স্পষ্ট ও পরিষ্কার দেখা যাবে।

কেন এ চশমা প্রয়োজন?

গাড়ি কেনার পর অতিরিক্ত খরচ কমাতে ড্রাইভিংটা যদি নিজে ভালোভাবে রপ্ত করা যায়, তাহলে খরচ কমে যায় অনেকটাই। নিরাপত্তার খাতিরে যেমন নিয়মিত ইঞ্জিন, টায়ার পরীক্ষা করছেন এবং সিটবেল্ট বেঁধে গাড়ি চালাচ্ছেন, তেমনি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে এ ক্লিয়ার ভিউ নাইট গ্লাস সঙ্গে রাখা প্রয়োজন। আগেই বলা হয়েছে আমাদের দেশে ৪০ শতাংশের বেশি দুর্ঘটনা ঘটে রাতে। আবার রাতে রাস্তায় গাড়ির পরিমাণও থাকে ৬০ শতাংশের কম। সেক্ষেত্রে এ পরিমাণ দুর্ঘটনা ঘটার কথা নয়। মূলত এসব দুর্ঘটনা ঘটে অতিরিক্ত গতি, অন্ধকার এবং অতিরিক্ত আলো ও চালকের দৃষ্টিক্ষমতা ভালো না থাকলে।

ক্লিয়ার ভিউ নাইট গ্লাস নামক চশমার ফ্রেম একটু হলদে বা সবুজাভ হয়। এটি পরার পর একজন চালক আরো বেশি আত্মবিশ্বাস পাবে।

ক্লিয়ার ভিউ নাইট গ্লাসের কার্যকারিতা:

বিশেষায়িত এ হলুদ লেন্সের চশমা শতভাগ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি প্রতিহত করে, উজ্জ্বল ও নীল আলো ব্লক করে এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করে। এমনকি ঘোর অন্ধকারেও স্বচ্ছ দেখা যাবে এ চশমা পরলে। এর হলুদাভ লেন্স রাতে কনট্রাস্ট ভিউ তৈরিতে সহায়তা করে।