শনিবার   ১৭ মে ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩২   ১৯ জ্বিলকদ ১৪৪৬

মিলনমেলা করবে বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেকরা

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৩:৫৮ এএম, ১৭ মে ২০২৫ শনিবার


 
 
বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যকরি কমিটিতে বিভিন্ন মেয়াদে বিভিন্ন পদে দায়িত্বপালন করা কমিটির সাবেক সদস্যরা সমিতির ৫০ বছর ফুর্তিতে একটি আলাদা মিলন মেলার আয়োজন করতে যাচ্ছে।
এ উপলক্ষ্যে সাবেকরা গত ১২ মে জ্যামাইকার মেজ্জান রেস্টুরেন্টে এক সভায় মিলিত হয়। এ উপলক্ষ্যে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ডা. ওয়াদুদ ভুঁইয়া, সদস্য সচিব বাবুল চৌধুরী এবং প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ জামান তপন। এর আগে গত ২১ এপ্রিলের এ কমিটি তাদের প্রথম সভা করে। এদিকে বর্তমান কার্যকরি কমিটির পক্ষ থেকেও ৫০ বছর পূর্তি ও মিলন মেলা আয়োজন করা হচ্ছে। তাই সাবেকদের এ অনুষ্ঠান তাদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনা এ বিষেয় সভায় প্রশ্ন উঠে।
সাবকেরা বলেন, কর্মকর্তা বলেন, ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন সোসাইটি করতে পারে এবং তারা যদি আমন্ত্রণ করে এবং সহযোগিতা চান তবে সাবেকরা সার্বিক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। কিন্তু সোসাইটির সাবেকরা শুধু নিজেদের জন্য আনন্দ মেলা বা মিলন মেলা করলে তা অবশ্যই কোন কনফ্লিকট করবেনা।
এদিকে সভায় আলোচনায় আসে সোসাইটির বর্তমান কমিটির এক সদস্য নাকি একজন সাবেক সাধারণ সম্পাদককে কল করে বলেছেন, সংবিধান মোতাবেক সোসাইটি রিইউনিয়ন করবে। এবিষয়ে সভায় সাবেকরা বলেন, অতীতে ২০০৮ ও ২০১০ সালে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সোসাইটির গঠনতন্ত্র অনুসারে ধারা ভি-১, ধারা ৩ বিনোদন: ধারা ৩-এ অনুসারে সোসাইটি তার সদস্যদের নিয়ে একটি বার্ষিক পুনর্মিলনীর আয়োজন করবে।) এখানে বিষয়টি পরিস্কার সোসাইটির সদস্যদের নিয়ে পুনর্মিলনী করার কথা বলা আছে। কিন্তু শুধু সাবেক নেতাদের নিয়ে অনুষ্ঠান করার কথা নেই, তাছাড়া সোসাইটির কিছু সাবেক নেতা বর্তমানে সোসাইটির সদস্য নন।
এদিকে অনেকে ক্ষোভের সাথে বলেন, এ বছর বাংলাদেশ সোসাইটি বাংলাদেশ ডে প্যারেড করলেও সেখানে অধিকাংশ সাবেকদের ডাকা হয়নি, দুই চার জন যারা বিনা দাওয়াতে উপস্থিত ছিলেন তাদের সম্মান দেয়া হয়নি। তাছাড়া সোসাইটির ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বার্ষিকী বা গোল্ডেন জুবলী পালন করা হবে। কিন্তু ৫০বছর পূর্তির সাথে মিলন মেলা সংযুক্ত করা উদ্দেশ্য প্রনোদিত। সভায় কমিটির সাবেক সদস্যদের পরিবার নিয়ে এ বছরে মিলন মেলা বা আনন্দ মেলার সিদ্ধান্ত অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। রেজিস্ট্রেশন সাপেক্ষে অনুষ্ঠানে বর্তমান কমিটির সদস্য, বোর্ড অব ট্রাস্টির সকল সদস্য ও নির্বাচন কমিশনারদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
গভায়, প্রস্তুতি কমিটির জন্য আহ্বায়কের সাথে ২ জন যুগ্ম আহবায়কের নাম প্রস্তাব করা হয়। এতে ডা. ওয়াদুদ ভুঁইয়া আহ্বায়ক, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রব মিয়ার সাথে নার্গিস আহমেদকে যুগ্মআহবায়ক হিসেবে সংযুক্ত করা হয়। সদস্য সচিব বাবুল চৌধুরীর সাথে যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে জেড আই চৌধুরী জুয়েল ও জে সানি মোল্লার নাম প্রস্তাব করা হয়। সমন্বয়ক মো. জামান তপনের সাথে সহ-সমন্বয়কারী হিসেবে মো. সাইফুল ইসলাম, সরোয়ার খান বাবু, মঈন উদ্দিন মাহবুব, একেএম রফিকুল ইসলামের (ডালিম) নাম প্রস্তাব করা হয়। ফাইন্যান্স কমিটির প্রধান একেএম নুরল হকের সাথে সদস্য হিসেবে মোঃ হায়দারের নাম প্রস্তাব করা হয়। সাংস্কৃতিক কমিটির প্রধান হিসাবে সাইদ আহমেদ চৌধুরী এবং অভ্যর্ত্থনা কমিটির প্রধান হিসেবে মনিরুল ইসলামের সঙ্গে সকল সাবেক সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক থাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। স্যুভেনির কমিটির প্রধান শেখ সিরাজের নাম এবং সদস্য হিসেবে খান শওকত ও সিরাজ উদ্দিন সোহাগের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া কুইন্স ও লংআইল্যান্ডের তিনটি ভেনু বিবেচনা করা হচ্ছে। আরো পাওয়া গেলেও বিবেচনা করা হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, নার্গিস আহমেদ, আব্দুর রব মিয়া, মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম, সাউদ আহমেদ চৌধুরী, মোহাম্মদ হোসেন খান, ফখরুল আলম, এ কে এম ফজলে রাব্বী, মনিরুল ইসলাম, দুলাল মিয়া এনাম, নিশান রহীম, একেএম নুরুল হক, শেখ সিরাজ, খন্দকার ফরহাদ, জেড আই জুয়েল চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, সিরাজ উদ্দিন সোহাগ, ওয়াহিদ কাজী এলিন, কাজী তোফায়েল ইসলাম, খান শওকত, সরোয়ার খান বাবু, সাইফুল্লাহ ভূঁইয়া প্রমুখ।