ইমিগ্রেশন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৩:৪৯ এএম, ১৭ মে ২০২৫ শনিবার

চলমান পরিস্থিতিতে ইমিগ্রান্ট বিষয়ক যে কোন সমস্যায় বিভ্রান্ত না হয়ে একজন ইমিগ্রান্ট অ্যাটর্নির কাছ থেকে আইনি পরামর্শ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সুপরিচিত অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ এটর্নি মাইকেল এডওয়ার্ড পিস্টন। ‘আমেরিকান ইমিগ্রেশন ক্র্যাকডাউন : বাংলাদেশি জনগণের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং নীতিগত বিকল্প’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ আহ্বান জানান। গত ১২ মে জ্যাকসন হাইটসের সানাই রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি হলে সেমিনারটি আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্রের সুপরিচিত আইস প্রতিষ্ঠান মাইকেল ই পিস্টন ‘ল’ অফিস। সেমিনারের সঞ্চালনায় ছিলেন ফাওজিয়া আরিনা, সার্বিক সহায়তায় ছিলেন মাইকেল এডওয়ার্ড পিস্টনের সহকর্মী ল অফিসার লোকমান হোসেন ভূঁইয়া।
মাইকেল এডওয়ার্ড পিস্টন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন অভিবাসন নীতিতে যেসব কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশি অভিবাসীরা একাধিক জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন। বিশেষ করে, ভিসা ব্যাকলগ, রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান, নির্বাসনের ঝুঁকি এবং অভিবাসন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কঠোর ভূমিকার কারণে অনেকেই উদ্বিগ্ন ও বিপাকে পড়েছেন। কঠিন এ সময়ে যার তার কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে একজন অভিজ্ঞ ইমিগ্র্যান্ট এটর্নির সহায়তা নেওয়া উচিত। জটিলতা ও ঝামেলা এড়াতে এ সময় সবাইকে আরো অধিক সতর্কতার থাকে চলাফেরা করা উচিত। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ভ্রমণ করা থেকেও বিরত থাকা উচিত।
এ সময় মাইকেল ই পিস্টন ‘ল’ অফিস জানায়, যেসব বাংলাদেশি শিক্ষার্থী টার্মিনেশনের শিকার হচ্ছেন, বা যাদের সেভিস একাউন্ট স্থগিত ররেছে, তাদের জন্য বিনামূল্যে সেভিস একাউন্টসহ স্টুডেন্টশিপ ফিরে পেতে আবেদনসহ আইনি সেবা দেবে।
এ সময় উপস্থিত ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অভিবাসন নীতির পরিবর্তন এবং এর বাস্তব প্রভাব নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, নীতিগত পরিবর্তন শুধু বর্তমান আইনি অবস্থান নয়, অভিবাসীদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাকেও প্রভাবিত করছে। তবে সময়মতো সঠিক আইনি পরামর্শ ও সহায়তা গ্রহণের মাধ্যমেই এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব।
সেমিনারে অন্যদের বক্তব্য রাখেন আমেরিকা-বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্সের অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এবিসিসিআই)-এর সভাপতি গিয়াস আহমেদ এবং কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট আজগর হোসাইন খান বাবু।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, অভিবাসন আইন সম্পর্কে সচেতনতা ও আইনগত সহায়তার প্রয়োজনীয়তা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি অভিবাসীদের তাদের অধিকার সম্পর্কে জানার পাশাপাশি প্রযোজ্য পদক্ষেপ গ্রহণে সতর্ক ও সক্রিয় হতে হবে। ইমিগ্রেশন বিষয়ক এ ধরনের সেমিনার তথ্যভিত্তিক আলোচনার পাশাপাশি অভিবাসীদের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনাও দেয়, যা তাদের নিরাপদ ও স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ নির্মাণে সহায়ক হতে পারে। তাই ভবিষ্যতে এ ধরনের আরো সেমিনারের আয়োজন করা উচিত।