শনিবার   ১৭ মে ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩২   ১৯ জ্বিলকদ ১৪৪৬

আ.লীগের ক্ষোভ ও বিএনপির মিষ্টি বিতরন

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৩:৪৫ এএম, ১৭ মে ২০২৫ শনিবার

নিউইয়র্কে হাতাহাতি

 
 
বাংলাদেশ সরকার আওয়ামী লীগের সব ধরণের কর্মকা- নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকবে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং সহযোগি অঙ্গ সংগঠনের সদস্যরা ১০ মে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস ডাইভারসিটিতে। বিএনপির নেতা গিয়াস আহমেদ এবং এনসিপির সদস্যরা এখানে এসে মিষ্টি বিতরণ করেন। এনসিপির অনেকে গিয়াস আহমেদকে মিষ্টি খাইয়ে দেন। এনসিপির সদস্যরা আনন্দে একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে দিয়েছেন। এমন অবস্থায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও গালাগালিতে জড়িয়ে যান তারা। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘বিএনপির বিরুদ্ধে আমাদের কোন প্রতিবাদ নেই। অবৈধ ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ। বিএনপির নেতাদের বলতে চাই, একদিন ড. ইউনূস আওয়ামী লীগের মতোই আচরণ করবে।’ এ সময় বিএনপির নেতা গিয়াস আহমেদ ড. সিদ্দিকুর রহমানের পাশেই ছিলেন। নিউইয়র্কের এনসিপির তরুণরা আওয়ামী লীগের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানালে তা তর্কাতর্কিতে পরিণত হয় এবং একপক্ষ আরেক পক্ষকে ধাক্কা দিতে দেখা যায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সংবাদ জানার পরই নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, শেখ হাসিনা মঞ্চ, জেনোসাইড একাত্তর ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা স্লোগানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে গণশত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করে অবিলম্বে তার পদত্যাগের দাবি জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগের কর্মীরা ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে এবং আশপাশে থাকা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাদের ডাইভারসিটিতে আসার জন্য ফোনে আহবান করে। আওয়ামী লীগের নেতারাও ওই সময় ডাইভারসিটি প্লাজায় উপস্থিত হন। স্লোগান-পাল্টা স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো এলাকা পরে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। খবর পেয়ে পুলিশ আসার আগেই আওয়ামী লীগ নেতারা স্থান ত্যাগ করেন।
বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা ড. প্রদীপ কর, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, আবুল হাসিব মামুন, মহিউদ্দিন দেওয়ান, শাহীন আজমল, অ্যাডভোকেট শাহ বখতিয়ার, তারিকুল হায়দার চৌধুরী, দরুদ মিয়া, সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. আব্দুল কাদের মিয়া, সেক্রেটারি কামাল হোসেন মিঠু, সহ-সভাপতি মো. জাফরউল্লাহ, নুরুল আবসার, শেখ হাসিনা মঞ্চের সভাপতি জালালউদ্দিন জলিল, সেক্রেটারি কায়কোবাদ খান, কাশেম ভুইয়া, খসরুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, খান শওকত, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কিবরিয়া, নুরুজ্জামান সর্দার, সাখাওয়াত বিশ্বাস, আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামসুদ্দিন আজাদ, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ, সোলায়মান আলী, আব্দুল হামিদ, মফিজুল ইসলাম, আলী হোসেন গজনবী, তুলন মিয়া, আশফাক মাসুক, জহুরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, জেড এ জয়, যুবলীগ নেতা শেখ জামাল, রহিমুজ্জামান সুমন, জাহিদ খন্দকার, ছাত্রলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আকবর রিচি, শাহানারা রহমান, মমতাজ শাহনাজ প্রমুখ।
এ বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে অবৈধ ইউনূস সরকারের কোনো নির্দেশ বাংলাদেশের সচেতন মানুষ কখনো মানবে না বলে উল্লেখ করে বক্তারা ইউনূসের অন্যায়-অবিচার আর দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলনের ঘোষণা দেন।