লাগোর্ডিয়া কলেজের ১৭ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৩:৫৫ এএম, ৩ মে ২০২৫ শনিবার

লাাগোর্ডিয়া কমিউনিটি কলেজের ১৭ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি। এ সংখ্যাটি এপ্রিল মাসেরই। ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট থেকে কলেজে প্রেরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, উল্লেখিত শিক্ষার্থীদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় এফ-১ (স্টুডেন্ট ভিসা) বাতিল করা হলো। কলেজ কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ঠ ছাত্রছাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইলে ভিসা বাতিল সংক্রান্ত ইমেইল পাঠিয়েছে। এ খবরটি জানাজানি হবার পর লার্গোডিয়া কমিউনিটি কলেজ সহ সিটির অন্যান্য কলেজগুলোতে আর্ন্তজাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। গত ৩ মাসে ৫ হাজার আর্ন্তজাতিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছেন বলে সেক্রেটারি অব স্টেট মার্ক রুবিও সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রতিবেদককে বলেন, গত ১৭ এপ্রিল কলেজ থেকে ভিসা বাতিল সংক্রান্ত ই-মেইল পাই। সাথে সাথে কলেজে যোগাযোগ করি। এমনকি কলেজে যেতে চাই। তারা কলেজে না যেতে পরামর্শ দেন। লার্গোডিয়া কমিউনিটি কলেজ সেনচুয়ারি ক্যাম্পাস না হওয়ায় আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হবার সম্ভাবনার কথা বলেন তারা। কলেজ কর্র্তৃপক্ষ একজন এটর্নির নাম ও টেলিফোন নাম্বার দিয়ে তার কাছ থেকে পরামর্শ নেবার কথা বলেন। আমি এটর্নিকে কল করেছি। ৯ মে এটর্নির সাথে আমার সাক্ষাৎ রয়েছে।
বাংলাদেশি এই শিক্ষার্থী সাপ্তাহিক আজকালকে বলেন, ৩ বছর আগে লাখ লাখ টাকা খরচ করে এ দেশে এসেছি। সুন্দর ও উজ্জ্বল একটি ভবিষ্যতের আকাংখা ছিল। দেশে স্ত্রী ও সন্তান রেখে এ দেশে লেখাপড়া করছিলাম। সবই ঠিকঠাক চলছিল। আগামী জানুয়ারিতে কম্পিউটার সায়েন্সে ডিগ্রী নেবার কথা ছিল। এখন ঘর থেকেই বের হতে পারছি না। কখন গ্রেফতার হই এই আতংকে দিনাতিপাত করছি। ৩ বছরে প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ করেছি। দেশে ফিরে গেলে কোন ডিগ্রী হাতে থাকবে না। আর দেশে গিয়ে কি করবো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটর্নির সাথে পরামর্শ করে আইনী লড়াইটি চালিয়ে যেতে চাই। তারপর দেশে ফেরার পর সিদ্ধান্ত নেব।