সোমবার   ১৭ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৩ ১৪৩২   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

অস্ট্রেলীয় ওপেনার হেরেও হাসি

স্পোর্টস ডেস্ক:

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৭:০৪ পিএম, ৬ জানুয়ারি ২০১৯ রোববার


বিপিএল-অভিষেকটা ভালো হয়নি ডেভিড ওয়ার্নারের। হয়েছেন বিতর্কিত আউট, দল সিলেট সিক্সার্সও জেতেনি। তবুও অস্ট্রেলীয় ওপেনারের মুখে হাসি

হারের পরও তাঁর মুখে হাসি। সংবাদ সম্মেলনে আসার পথে খানিকটা আড্ডা দিয়ে এলেন মাঠে দলের অনুশীলন নিয়ে ব্যস্ত খুলনা টাইটানস কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনের সঙ্গে। সংবাদ সম্মেলনে এসেও সেই হাসিমুখ ওয়ার্নারের। কে বলবে খানিক আগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের কাছে হেরে গেছে তাঁর দল সিলেট সিক্সার্স।

ম্যাচের গল্পটা অন্যরকম হতে পারত যদি তরুণ ক্রিকেটার তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে তিনি রানআউট না হতেন। এ রানআউটে তরুণ সতীর্থকে অবশ্য কাঠগড়ায় তুলছেন না ওয়ার্নার, ‘এটা কোনো ব্যাপার না। ওখানে তিন-চারবার কল হয়েছে (হ্যাঁ-না)। তাকে আমি বলেছি এখানে আমাদের “হ্যাঁ” বলা ঠিক হয়নি। তোমাকে মারতে হবে, অপেক্ষা করো, দেখ কী হয়। ক্রিকেট এটা হতে পারে। কারও দোষ নেই। যোগাযোগবিভ্রাটের কারণে এটা হয়েছে এবং পরে আমরা এগিয়ে গেছি।’

হৃদয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার পরও ওয়ার্নারের রানআউট নিয়ে আছে প্রশ্ন। টিভি রিপ্লে দেখে তৃতীয় আম্পায়ার কি সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন? হৃদয় শর্ট স্কয়ার লেগে বল পাঠান। নন স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে ওয়ার্নার রান নিতে ছোটেন। কিন্তু অপর প্রান্তে তৌহিদ রান নেওয়ার চেষ্টাই করেননি। নন স্ট্রাইক প্রান্তে বোলার শোয়েব মালিক যখন স্ট্যাম্প ভেঙে দেন, তখন স্ট্রাইক প্রান্তে ওয়ার্নার এবং তৌহিদ দুজনেই দাঁড়িয়ে। এই প্রান্তে কে আগে পপিং ক্রিজে পৌঁছেছেন সেটা জানতে শেষ পর্যন্ত টিভি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হয়। আম্পায়ার জানান ওয়ার্নার রান আউট! কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় তৌহিদ তার ক্রিজে ব্যাট রাখার আগেই ওয়ার্নার সেখানে পা রেখেছেন! টিভি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ জানান, ওয়ার্নার আউট! দুজনের একজন অবশ্যই রান আউট ছিলেন। তবে সেটা তৌহিদ হৃদয় নাকি ডেভিড ওয়ার্নার তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

সিলেট অধিনায়ক যে সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট ছিলেন না, ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে তাঁর অভিব্যক্তিতেই সেটি পরিষ্কার। সংবাদ সম্মেলনে এই আউট নিয়ে ওয়ার্নারের কথা হচ্ছে, ‘দলের সবাই বলেছে এটা ঠিক ছিল না (সিদ্ধান্ত)। দেখিনি কী হয়েছে। তবে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে আমি ভেতরে ছিলাম (লাইনের)। আপনি যদি ক্যামেরার পেছন থাকেন এবং এমন সিদ্ধান্ত ঠিকঠাক না দিতে পারেন, কিছু বলার নেই। যে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে তার হয়ে কিছু বলতে পারি না। যদি এটা আউট না হয়, তবে হইনি। আমাকে সিদ্ধান্ত মানতে হবে।’

রানআউট নিয়ে সন্তুষ্ট না হতে পারলেও ওয়ার্নার স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে খুশি, ‘স্থানীয় খেলোয়াড় যারা আমার দলে আছে, তাদের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান কাজে লাগানো গুরুত্বপূর্ণ। যাদের বিপক্ষে খেলছি তাদের জানাটাও গুরুত্বপূর্ণ। সাব্বির ভালো করেছে। তাসকিন-আল আমিন তাদের ফিল্ড সেটিংটা বোঝে। তারা জানে কী বল করতে হবে। এটাই আমার অধিনায়কত্বের ধরন। ২৪ বলের দায়িত্ব তাদের কাঁধেই তুলে দেব। তারা ভালো করেছে। আমি খুশি। আমরা জানতাম ১৩০ রান নিয়েই লড়তে পারব।’

বল বিকৃতির অপরাধে আন্তর্জাতিক ও অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে এক বছর নিষিদ্ধ ওয়ার্নার খুশি বিপিএল খেলতে পেরেও। সংবাদ সম্মেলন শেষে রসিকতা করে ভাঙা বাংলায় বলে গেলেন—‘ভালোবাসি’!