সিরিজ নিশ্চিত করল দ. আফ্রিকা
স্পোর্টস ডেস্ক:
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৩:৫৯ পিএম, ৬ জানুয়ারি ২০১৯ রোববার
তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো দক্ষিণ আফ্রিকার। সেঞ্চুরিয়নে সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিল প্রোটিয়ারা। কেপটাউনে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সফরকারী পাকিস্তানকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে ফাফ ডু প্লেসিসের দল। সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে থেকে শেষ ম্যাচে আগামী ১১ জানুয়ারি পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৭৭ রানেই অলআউট হয়ে যায়। নিজেদের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হওয়ার আগে তোলে ৪৩১ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৯৪ রান। তাতে, প্রোটিয়াদের জয়ের জন্য টার্গেট দাঁড়ায় মাত্র ৪১ রান। এক উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে প্রোটিয়ারা।
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের শান মাসুদ ৪৪, আসাদ শফিক ২০, অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ৫৬, মোহাম্মদ আমির ২২ রান করেন। এছাড়া, ইমাম উল হক, ফখর জামান, আজহার আলি, বাবর আজমরা কেউ দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার ডুয়ান্নে অলিভিয়ের চারটি, ডেল স্টেইন তিনটি, কেগিসো রাবাদা দুটি আর ভারনন ভিল্যান্ডার একটি করে উইকেট পান।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে আইডেন মার্কারাম ৭৮, ডিন এলগার ২০, হাশিম আমলা ২৪, ডি ব্রুইন ১৩ রান করেন। অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস করেন ১০৩ রান। তেম্বা বাভুমা ৭৫, কুইন্টন ডি কক ৫৯, ফিল্যান্ডার ১৬, রাবাদা ১১, স্টেইন ১৩ আর অলিভিয়ের ১০ রান করেন। পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমির চারটি, শাহীন শাহ আফ্রিদি চারটি, মোহাম্মদ আব্বাস একটি আর শান মাসুদ একটি করে উইকেট পান।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের ওপেনার ইমাম উল হক ব্যক্তিগত ৬ রানে বিদায় নিলেও আরেক ওপেনার শান মাসুদ করেন ৬১ রান। আজহার আলি ৬ রানে ফেরেন। আসাদ শফিকের ব্যাট থেকে আসে ৮৮ রান আর বাবর আজম করেন ৭২ রান। ফখর জামান ৭, সরফরাজ আহমেদ ৬ রান করে বিদায় নেন। প্রোটিয়াদের হয়ে চারটি করে উইকেট নেন ডেল স্টেইন এবং কেগিসো রাবাদা। একটি করে উইকেট পান ফিল্যান্ডার এবং অলিভিয়ের।
৪১ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ডি ব্রুইন ৪ রানে বিদায় নেন। ব্যক্তিগত ২ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হন হাশিম আমলা। ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন ডিন এলগার এবং ৩ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। একমাত্র উইকেটটি নেন মোহাম্মদ আব্বাস। ম্যাচসেরা হন ডু প্লেসিস।
