মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৯ ১৪৩১   ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনী মহড়া

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ১০:২৯ এএম, ৮ জুন ২০২৪ শনিবার

৩০ জুন ভোটার হওয়ার শেষ তারিখ : সম্ভাব্য প্রার্থী যারা

 
পাঁচ মাস আগে থেকেই জমে উঠছে এবারের বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন। অক্টোবরে নির্বাচন হওয়ার কথা। গঠিত হয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনি। এখন থেকেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রার্থী ও সর্মথকদের নির্বাচনী মহড়া। সম্ভাব্য প্রার্থীদের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশি কমিউনিটি প্রধান এলাকাগুলোতে। জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, পার্কচেষ্টার কিংবা ব্রুকলিনের চার্চ ম্যকডোনাল্ডসে চায়ের কাপে ঝড় উঠতে শুরু করেছে। প্রার্থী ও তাদের সর্মথকদের হাতে সোসাইটির সদস্য ফরম। কমিউনিটির লোকজনদের অনুরোধ করা হচ্ছে তা পূরণ করে ভোটার হওয়ার জন্য। আগামী ৩০ জুন সদস্য ফরম পূরণ কিংবা ভোটার হবার শেষ দিন। ধারণা করা হচ্ছে এবার ভোটার সংখ্যা ৪০ হাজারের মতো হবে।  
এবারের নির্বাচনে অনেক নাটকীয়তায় থাকবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছ্।ে প্রতিবারের মতো এবারও কমিউনিটির ধণাঢ্য ব্যবসায়ীরা এ নির্বাচনে চালিকা শক্তি হিসাবে কাজ করবেন বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন। প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের অফিসগুলোতে প্রার্থীদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। নির্বাচনের মেরুকরণ হচ্ছে দ্রুততার সাথে।
এবারের নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে তিন জনের নাম আলোচনায় এসেছে। তারা হলেন বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ রব মিয়া, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম। তবে রব মিয়া ও রুহল আমিনের মধ্যে যে কোন একজন নির্বাচন করবেন। তাদের যে কোন একজন হবেন সভাপতি প্রার্থী। প্রার্থী যিনিই হোন তার সাথে সাধারন সম্পাদক  পদে কে আসবেন তা নিয়ে চলছে জোর জল্পনা-কল্পনা। সবচেয়ে জোরালোভাবে নাম এসেছে জাহিদ মিন্টুর। তিনি বৃহত্তর নোয়াখালির মানুষের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়। তবে মোহাম্মদ রব মিয়া সভাপতি প্রার্থী হলে তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে নিব্র্াচন করবেন না বলে একটা নিশ্চিত ধারণা তৈরি হয়েছে।  কারণ তারা দুইজনই বৃহত্তর নোয়াখালি সমিতির সাথে জড়িত। এমতাবস্থায় তাদেও মধ্যে যে কোন একজন নির্বাচন করবেন। রব মিয়া সভাপতি পদে নির্বাচন না করলে জাহিদ মিন্টু সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন। আর তার সাথে সভাপতি হিসেবে থাকতে পারেন বর্তমান সাধারন সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী। প্রকৃত অর্থে এই প্যানেলের সভাপতি প্রার্থিতার ওপরই নির্ভর করবে কে সাধারণ সম্পাদক পদে আসছেন। বর্তমান কোষাধ্যক্ষ নওশেদ হোসেনের নামও সাধারণ সম্পাদক পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে। একজন সফল সংগঠক হিসেবে ব্যাপক পরিচিত জাহিদ মিন্টু এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বলেন, সোসাইটর সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করার জন্য প্রচুর চাপ রয়েছে। তবে আমি এখনও মনস্থির করিনি। সিদ্ধান্ত নিলে আপনাদের সাথে নিয়েই প্রার্থিতার ঘোষণা দেব। আমি এখন ব্যস্ত রয়েছি নোয়াখালি সমিতির নামে ১ লাখ কবরের বাংলাদেশ সেমিট্রি’র প্রকল্প নিয়ে।
এদিকে সিলেটের সন্তান আতাউর রহমান সেলিম সভাপতি পদে নির্বাচন করার প্রত্যাশায় মাঠে রয়েছেন। সভাপতি পদে সোসাইটর সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন কুনুর নামও শোনা যাচ্ছে। তিনিও সিলেট অঞ্চলের। জনাব কুনু না দাঁড়ালে সেলিমের প্রার্থিতা একরকমের নিশ্চিত। তার সাথে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে থাকতে পারেন সোসাইটির সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী। নারায়নগঞ্জের সন্তান মোহাম্মদ আলীও মাঠে সক্রিয়। গতবার তিনি  নয়ন-আলী প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়েছেন। কিন্তু অল্প ভোটে হেরে যান। এদিকে জ্যামাইকার পরিচিত মুখ জে মোল্লাা সানির নামও সাধারণ সম্পাদক পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে।