শিশুর বারংবার ঠাণ্ডা লাগে! আরএসভি নয় তো?
নিউজ ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:০৬ পিএম, ৩ জানুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার

শীত বলতেই অনেক অভিভাবক ভেবে নেন যে, এই সময়ে সন্তানের ঠাণ্ডা লাগতেই পারে।
বিষয়টি নিয়ে তেমন সচেতন নন অনেক বাবা-মা। তবে এ বিষয়ে বাবা-মাকে বেশ সতর্ক হতে বলেছেন চিকিৎসকরা।
স্রেফ ঠাণ্ডাই তো এভাবে ব্যাপারটিকে না উড়িয়ে দিয়ে এ নিয়ে ভাবতে বলা হয়েছে তাদের।
চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে-নিয়মিত বিরতি দিয়ে যে শিশুর সর্দি-কাশি ও কফ হয়, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।
কারণ এটি শুধুই আবহাওয়াজনিত ঠাণ্ডা সমস্যা নয়, এটি শ্বাসযন্ত্রের সিনসাইটিয়াল ভাইরাস বা আরএসভিও (RSV) হতে পারে।
বেশ কয়েকটি জরিপ জানাচ্ছে-বিশ্বের বেশ কিছু অংশে আরএসভি ক্ষেত্র বাড়ছে। আর ফ্লু বা ঠাণ্ডার উপসর্গ মনে করে শিশুদের ব্রঙ্কিওলাইটিস এবং নিউমোনিয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন অভিভাবকরা।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আরএসভি শ্বাসযন্ত্রের একটি সাধারণ ভাইরাস। এটি একটি প্যারামিক্সো ভাইরাস, যা শ্বাসযন্ত্রের রোগ সৃষ্টি করে। ভাইরাসটি ব্রঙ্কিওলাইটিস ও নিউমোনিয়ার অন্যতম প্রধান কারণ।
আর আসছে বসন্তে আরএসভি সংক্রমণের হার বাড়ে বলে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা।
তারা জানান, অপরিপক্ব বয়সে জন্ম নেয়া সন্তান, সদ্যোজাত শিশু, বয়স্ক, হাঁপানি/সিওপিডি আছে এমন ব্যক্তি, দুর্বল শিশু এবং জন্মগত ফুসফুস বা হৃদরোগ আছে, এমন শিশুর এই সংক্রমণের হার বেশি।
কীভাবে জানবেন যে শিশুর শ্বাসযন্ত্র আরএসভি ভাইরাসে আক্রান্ত?
চিকিৎসকরা বলছেন, আরএসভির অন্যান্য লক্ষণ হল-খিদে কমে যাওয়া, জ্বর, নাক বন্ধ, কাশি ও নাক দিয়ে পানি পড়া।
এ ভাইরাসটি বাবা-মায়ের কাশি, হাঁচি, আপনার মুখ, নাক বা চোখ স্পর্শ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে শিশুর দেহে।
তারা বলেন, যদি আপনার সন্তানের শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়, অথবা পর্যাপ্ত তরল না পান করে, তবে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
আরএসভি সংক্রমণ কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়?
আরএসভি প্রতিরোধে কোনো টিকা নেই। তবে কিছু মৌলিক ও সহজ সতর্কতা আপনার সন্তানকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে।
১. সন্তানকে নিয়মিত হাত ধোয়াতে হবে।
২. জ্বর বা ঠাণ্ডা লেগেছে এমন ব্যক্তির কাছ থেকে আপনার সন্তানকে দূরে রাখতে হবে।
৩. নিয়মিত সন্তানের খেলনা ধুতে হবে।
৪. শুধু শিশুকেই নয়, তার আশপাশের বস্তু পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে-শিশু যেন কোনো কিছু পেলেই তা মুখে না দিয়ে ফেলে।
৫. শৌচাগার, রান্নাঘর এবং মেঝে নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করা প্রয়োজন।
৬. শিশুর সামনে বা তার ঘরে, গাড়িতে অর্থাৎ শিশু আছে এমন বাড়িতে ধূমপান নিষিদ্ধ।