সোমবার   ২০ মে ২০২৪   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১   ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

কনস্যুলেটের ভ্রাম্যমান সার্ভিস বন্ধ

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৩:৪৭ এএম, ৩০ মার্চ ২০২৪ শনিবার

সোসাইটির ইফতার পার্টিতে ক্ষোভ

 
 
নিউইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেলের বিরুদ্ধে কমিউনিটিকে সেবা প্রদানে গাফিলতির অভিযোগ তুললেন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ আবদুর রব মিয়া। তিনি বললেন, ছুটির দিনে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় কনস্যুলেটের ভ্রাম্যমান সার্ভিস দেয়ার যে ব্যবস্থা কার্যকর ছিল বর্তমান কনসাল জেনারেল আসার পর তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে কমিউনিটির সদস্যরা।    
২৪ মার্চ বাংলাদেশ সোসাইটির ইফতার পার্টিতে আগত বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশির সমাবেশে   সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ রব মিয়া বলেন, বাংলাদেশিদের ট্যাক্সের অর্থে কনস্যুলেট পরিচালিত হয়। পাসপোর্ট নবায়ন, নতুন পাসপোর্ট, নো ভিসা ইস্যুসহ নানা কনস্যুলার সেবা দেয়া তাদের দায়িত্ব। কর্মজীবী প্রবাসী বাংলাদেশিরা কর্মদিবসে কাজ বন্ধ করে সেবা নিতে কনস্যুলেটে যেতে পারেন না। অতীতে এ জন্য কনস্যুলার সেবা প্রদানের জন্য কুইন্স, ব্রুকলিন ও ব্রংকসে ছুটির দিনে ভ্রাম্যমান কনস্যুলার ক্যাম্প স্থাপন করে শতশত মানুষকে সেবা দেয়া হতো। কিন্তু নতুন কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা দায়িত্বে আসার পর তা বন্ধ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ সোসাইটি একাধিকবার তার সাথে দেখা করে কনস্যুলেটের এই সেবা প্রদান অব্যাহত রাখার আহবান জানায়। কিন্তু তিনি আমাদের কথায় কর্তপাত করেননি। কুইন্সের তিব্বতিয়ান কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এই ইফতার মাহফিলে তার বক্তৃতার সময় অনেকেকে শেম শেম বলতে শোনা যায়।
এ ব্যাপারে ‘আজকাল’-এর পক্ষ থেকে কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সভাপতি রব মিয়া সঠিক বক্তব্য তুলে ধরেননি। তিনি বিষয়টি নিয়ে আমার সাথে কথা বলেছেন। আমি তাকে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে বলেছি, একই শহরের ভেতর মোবাইল টিম পাঠিয়ে কনস্যুলার সেবা প্রদানের ব্যাপারে ঢাকা থেকে আসা অডিট টিম আপত্তি তুলেছে। এ ধরনের কনস্যুলার ক্যাম্প স্থাপনে অর্থ খরচের বিষয় জড়িত। এই অর্থ খরচের ব্যাপারেই অডিট টিমের আপত্তি। নিউইয়র্ক সিটির বাইরে, যেমন বাফেলো, আটলান্টিক সিটি, বস্টন বা কানেকটিকাটে ক্যাম্প স্থাপনে তাদের কোন আপত্তি নেই।
এর আগে নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন বরোতে এ ধরনে সার্ভিস দেয়ার দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হলে তিনি বলেন, অতীতেতো সিটির ভেতর বিভিন্ন ব্যরোতে হয়েছে। এখন এটি বন্ধ হয়েছে অডিট ডিপার্টমেন্টের আপত্তির কারণেই। তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা অডিট ডিপার্টমেন্টের নির্দেশনা পেলে সিটির বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান টিম পাঠিয়ে আমরা অবশ্যই কনস্যুলার সেবা  দিতে পারবো।
কনস্যুলেটের একজন কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে বলেন, ভ্রাম্যমান টিম পাঠিয়ে যে পরিমাণ খরচ হয় তার চাইতে কয়েক গুণ বেশি সার্ভিস চার্জ আমরা এইসব কার্যক্রম থেকে পাই। এ থেকে আমরা বরঞ্চ লাভবানই হই। কিন্তু এখন অডিটের নির্দেশে আমাদের হাত পা বাঁধা।