সোমবার   ২০ মে ২০২৪   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১   ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

নিউইয়র্ক পুলিশে বাংলাদেশিদের নিষ্ঠা ও দক্ষতার প্রশংসা

নিউজ ডেস্ক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৫:১৯ পিএম, ২৪ মার্চ ২০২৪ রোববার

ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী রমজানের প্রতিদিনই কোন না কোন মসজিদে মুসল্লিদের মাঝে ইফতার পরিবেশন করে সর্বস্তরের প্রবাসীর অভিনন্দনে সিক্ত হলেন।

এমন কৃতজ্ঞতা-বার্তা উচ্চারিত হয় নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে বাংলাদেশি অফিসারদের সংগঠন ‘বাপা’র (বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন) ইফতার-ডিনার সমাবেশে। শনিবার (২৩ মার্চ) এ সমাবেশ হয় কুইন্সে জয়া পার্টি হলে।

এতে পুলিশ বাহিনীর সর্বস্তরের সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার প্রতিনিধিত্বকারী তিন শতাধিক ব্যক্তিবর্গ।

সমাবেশে বিশেষ সম্মানীত অতিথি হিসেবে কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ম্যালিন্ডা ক্যাটজ সকলকে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশি মুসলিম আমেরিকানরা কুইন্স কাউন্টি তথা নিউইয়র্ক সিটির অহংকারের অংশিদার এবং এই সিটির ভবিষ্যত বিনির্মাণেও অন্যতম সহায়ক শক্তি।

তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক স্বয়ম্ভরতার ক্ষেত্রেও শক্তিশালী পার্টনার। সপরিবারে বসবাসরত বাংলাদেশি আমেরিকানরা কুইন্স বরোর অবকাঠামোগত উন্নয়নেও প্রশংসনীয় অবদান রাখছেন।

ম্যালিন্ডা ক্যাটজ বাপার প্রশংসাকালে বলেন, পুলিশ বাহিনীতে এসব অফিসারের সক্রিয় ভূমিকা আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে অপরিসীম অবদান রাখছে। তারা জীবন বাজি রেখে কুইন্সের নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করছেন। এ জন্য আমি তাদের সকলকে ধন্যবাদ ও অভিবাদন জানাচ্ছি।

বাপার প্রেসিডেন্ট (সুপারভাইজার ডিটেকটিভ স্কোয়াড) এরশাদ সিদ্দিকের সভাপতিত্বে ইফতার-ডিনার মাহফিল সঞ্চালনা করেন বাপার সেক্রেটারি ডিটেকটিভ রাশিক মালিক।

মাওলানা ইসমাইল হোসেনের কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং রমজানের গুরুত্ব আলোকে বক্তব্যের আগে নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের চিফ এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার মীর বাশার, বাপার সাবেক সভাপতি ক্যাপ্টেন করম চৌধুরী এবং ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম আলমও সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সকলকে পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা এবং আগাম ঈদ মোবারক দেন।

এ সময় সিটি মেয়রের পক্ষ থেকে বাপার কার্যক্রমের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বাপা কর্মকর্তাগণের হাতে একটি সাইটেশন হস্তান্তর করেন মীর বাশার।

এ প্রসঙ্গে মীর বাশার বলেন, বিশ্বের রাজধানী খ্যাত এই নিউইয়র্ক সিটির জনজীবনকে নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশি অফিসাররা সততা-নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার যে স্বাক্ষর রাখছেন তা একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমাকেও অভিভূত করে।

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে বাপার এই বিশাল ইফতার-মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে ডেমক্র্যাট নেতা অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরীর একক স্পন্সরে।

এ প্রসঙ্গে মঈন চৌধুরী বলেন, আমার পরিবারের অনেকে পুলিশ বাহিনীতে রয়েছেন। তাই আমি মনে করি এটি আমার পরিবার। যতদিন সামর্থ্য থাকবে ততদিন এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো। এ জন্য সকলের দোয়া চাই।

তিনি উল্লেখ করেন, ডেমক্র্যাটিক পার্টির লিডার এবং আইনজীবী হিসেবে কম্যুনিটি ও প্রশাসনের অনেকের সাথে মেলামেশার সুযোগ ঘটে। প্রায় সকলেই বাংলাদেশি পুলিশ অফিসারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এমন প্রশংসাবাক্য আমাকেও আপ্লুত করে।

এ মাহফিলে আগতদের স্বাগত জানান বাপার সেকেন্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ চৌধুরী, কম্যুনিটি লিয়াজো সর্দার মামুন, মিডিয়া লিয়াজো জামিল সরোয়ার, করেসপন্ডিং সেক্রেটারি অক্সিলারি ক্যাপ্টেন সাঈদ এনায়েত আলী, সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস মাহবুব জুয়েল, ট্রেজারার মেহদী মামুন এবং কো-ট্রেজারার জসিম মিয়া।

তারা প্রবাসীদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সকল কর্মকাণ্ডে অকৃপণভাবে সাড়া দেয়ায় পুলিশ হিসেবে আমাদের কর্মকাণ্ড উৎসাহিত হচ্ছে।