মঙ্গলবার   ১৭ জুন ২০২৫   আষাঢ় ২ ১৪৩২   ২০ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

গাজায় অপুষ্টি-পানিশূন্যতায় ২০ জনের মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০১:৩৪ পিএম, ৭ মার্চ ২০২৪ বৃহস্পতিবার

গাজায় অপুষ্টি আর পানিশূন্যতায় এখন পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। সেখানে খাবার এবং পানির তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। অবিলম্বে গাজায় আরও ত্রাণ সরবরাহ করা না হলে আরও বহু মানুষ প্রাণ হারাবে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এক বিবৃতিতে বলেন, অনাহারে কয়েক ডজন মানুষ নীরবে মারা যাচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকেই হাসপাতালেও আসতে পারছে না।

এদিকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকা গাজার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে। গাজায় পূর্ণমাত্রার দুর্ভিক্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানানো হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। হামাসের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযান চালানো হচ্ছে। এমনকি হামাসকে নির্মূলের অজুহাতে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর প্রতিদিন হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৭১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে ৭২ হাজার ১৫৬ জন। গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। ফলে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে লড়াই অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলের হামলায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন বেসামরিক নাগরিকরা। তাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।

এদিকে বুধবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে যে, তারা ২৪ ঘণ্টায় হামাসের ২০ যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, হামাস যোদ্ধাদের অধিকাংশই নিহত হয়েছেন গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে। এর মধ্যে ১৫ জনই একটি বিমান হামলার ঘটনায় নিহত হয়েছেন।

এছাড়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বেইত হ্যানোন শহরে একটি সামরিক কম্পাউন্ডে একটি যুদ্ধবিমান থেকে চালানো হামলায় দুই যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় যেসব যোদ্ধা নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে দুজন গত ৭ অক্টোবরের হামলায় অংশ নেয়।

গাজায় ত্রাণবহরও ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, উত্তর গাজায় একটি ত্রাণবহরকে প্রবেশ করতে দেয়নি ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সংস্থাটি জানিয়েছে, দুর্ভিক্ষ এড়াতে গাজার উত্তরে ত্রাণবহরের প্রবেশাধিকার দিতে হবে।