স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে ভিডিও চালু করে যা করলেন স্বামী
নিউজ ডেস্ক
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৭:১০ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার

গাজীপুরের শ্রীপুরে ওড়না দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর হাত, পা বেঁধে, মুখে কাপড় গুঁজে, মোবাইলে ভিডিও চালু করে আত্মহত্যা করলেন স্বামী হৃদয়। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামের মাওনা চৌরাস্তা এলাকার মসজিদ মোড়ে আফাজ উদ্দিনের ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত হৃদয় (২২) মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার পারিঘাটা গ্রামের পিঞ্জর মিয়া শাহিনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত বাবার সঙ্গে মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় বসবাস করে চৌরাস্তা এলাকায় কাপড়ের ব্যবসা পরিচালনা করতেন।
দ্বিতীয় স্ত্রী, নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন-চার মাস আগে আর্জিনার সঙ্গে হৃদয়ের বিয়ে হয়। তাদের বিয়ের বিষয়টি গোপন ছিল। বিয়ের পর হৃদয় শ্রীপুর পৌরসভার মসজিদ মোড় এলাকার আফাজ উদ্দিনের বহুতল ভবনের নিচতলায় একটি ফ্ল্যাটের কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
মঙ্গলবার রাতে বাসায় ফিরে সে আর্জিনার হাত-পা খাটের সঙ্গে বেঁধে ফেলেন। এরপর দুই পা বেঁধে মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে আত্মহত্যার জন্য ঘরে ফ্যানের হুকে ওড়না লাগাতে থাকেন। এ সময় আর্জিনা ডাকচিৎকার শুরু করলে তার মুখের ভেতর গুঁজে দেওয়া কাপড় বের হয়ে এলে ফের তার মুখে গেঞ্জি গুজে দেন হৃদয়। এরপরই তিনি মোবাইল ফোনে ভিডিও চালু করে ফ্যানের হুকে ওড়না লাগিয়ে ঝুলে পড়েন।
এ সময় আর্জিনার ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে হৃদয়ের ঝুলন্ত এবং আর্জিনাকে হাত-পা বাঁধা ও মুখে কাপড় গুঁজে দেওয়া অবস্থায় তাকে দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হৃদয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত হৃদয়ের নানা এমরান হোসেন জানান, মোহনা নামে হৃদয়ের আগে আরেকটি স্ত্রী আছে। দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। তবে কেন, কী কারণে হৃদয় আত্মহত্যা করতে পারে তা তিনি জানাতে পারেননি।
দ্বিতীয় স্ত্রী আর্জিনা বলেন, আমি জানতাম হৃদয়ের আগে একটা স্ত্রী আছে। সে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে আমি তা মেনে নিয়েই বিয়ে করি; কিন্তু কি কারণে হৃদয় আত্মহত্যা করলেন সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানাতে পারেননি।
শ্রীপুর থানার এসআই মো. এনায়েত কবির বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।