মঙ্গলবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ৮ ১৪৩২   ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

প্রধানমন্ত্রীকে ১২ সিনেটরের চিঠি

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৩:১৪ এএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২৪ শনিবার

ড. ইউনূসকে হয়রানি বন্ধে শেখ হাসিনাকে আহ্বান

 
বাংলাদেশের নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ১২ জন সদস্য। এই সিনেটররা হলেন মেজরিটি হুইপ ও সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির চেয়ার ডিক ডারবিন, টড ইয়ং, টিম কাইন, ড্যান সুলিভান, জেফরে এ মার্কলে, জিন শাহিন, এডওয়ার্ড মার্কি, শেরোড ব্রাউন, পিটার ওয়েলশ, শেলডন হোয়াইটহাউস, রন ওয়াইডেন ও কোরি এ বুকার। গত সোমবার এ চিঠি পাঠানোর পর সিনেটর ডিক ডারবিন বিষয়টি নিয়ে টুইট করেছেন।
মার্কিন সিনেটরদের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ধারাবাহিক হয়রানি এবং আরও বিস্তৃতভাবে বলতে গেলে, সরকারের সমালোচকদের বিরুদ্ধে যেভাবে আইন ও বিচারব্যবস্থার অপব্যবহার করা হচ্ছে, তা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আমরা আপনার কাছে লিখছি।’
চিঠিতে বলা হয়, এক দশকের বেশি সময় ধরে অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশে দেড় শতাধিক ভিত্তিহীন মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো মানবাধিকার সংস্থাগুলো তাঁর বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়ায় অনিয়মের উল্লেখ করেছে। এগুলোর মধ্যে সম্প্রতি দেশের শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় মুহাম্মদ ইউনূসের ছয় মাসের কারাদন্ডের রায়ের মামলাও রয়েছে। খ্যাতিনামা এই সংস্থাগুলো বলেছে, বিচারপ্রক্রিয়ার গতি এবং বারবার ফৌজদারি কার্যধারার ব্যবহার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিচারব্যবস্থার অপব্যবহারের ইঙ্গিত দেয়। মুহাম্মদ ইউনূসকে বারবার ও দীর্ঘ সময় ধরে হয়রানি বাংলাদেশে ক্রমে নিয়ন্ত্রণ বাড়তে থাকা পরিবেশে সুশীল সমাজের অনেক সদস্যকে যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে, তা তুলে ধরে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে ড. ইউনূসের অগ্রণী ভূমিকা অনেক বাংলাদেশিসহ বিশ্বের লাখ লাখ দরিদ্র মানুষের জন্য বৃহত্তর অর্থনৈতিক প্রতিশ্রুতির সুযোগ করে দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁর অগ্রণী অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস তাঁকে কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল দেয়। চলমান রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের প্রচেষ্টাকে অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়।
মার্কিন সিনেটররা লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে, যার মধ্যে আছে অভিন্ন স্বার্থে ঘনিষ্ঠ দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতা। অধ্যাপক ইউনূসকে হয়রানির অবসান এবং অন্যদের সরকারের সমালোচনা করার ক্ষেত্রে বাক্স্বাধীনতা চর্চা করার সুযোগ এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে অব্যাহত রাখতে সাহায্য করবে।