বুধবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ৮ ১৪৩২   ০১ রবিউস সানি ১৪৪৭

প্রবাসীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

মোমেনের মন্ত্রিত্ব নেই ভোটে হারল গোল

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৩:২৭ এএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ শনিবার


   
আজকাল রিপোর্ট -
নির্বাচনে জিতেও নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন ড. একে আবদুল মোমেন। বিগত মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের কাছে বিপুল ভোটে হেরেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপ।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান গোলাপ দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেছেন। ফলে তারা দুজনেই প্রবাসীদের কাছে বিশেষ পরিচিত। নির্বাচনে গোলাপের ভরাডুবি ও মোমেনের মন্ত্রিপরিষদ থেকে বাদ পড়ার ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সরব আলোচনা হচ্ছে। এ দুজনের এই ‘পতনে’ প্রবাসীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সাধারণ প্রবাসী থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও তাদের এই পতনে খুশি হয়েছেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, গোলাপ প্রবাসী হয়েও প্রবাসীদের কাছে জনপ্রিয় নন, তাঁর এলাকা মাদারীপুরেও জনপ্রিয় নন। উপরন্তু ক্ষমতাকে ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে অর্ধশত কোটির টাকার সম্পত্তি কিনেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও নাক গলিয়ে বিভাজনের জন্য দায়ী। তাই তাঁর পতনে আমরা খুশিই হয়েছি।
অপরদিকে কোনো দিন রাজনীতি না করা ড. একে আবদুল মোমেন ছিলেন মূলত একজন শিক্ষাবিদ। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ভাই হওয়ার কারণে তিনি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা পরিবারের ঘনিষ্ট ছিলেন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি পেশাদার কূটনীতিক না হয়েও ছয় বছর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেছেন। এসময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও নাক গলান। তাঁর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আওয়ামী লীগের একটি পক্ষকে ইন্ধন দেওয়ার সরাসরি অভিযোগ রয়েছে। তিনি বাকপটু হিসেবেও দেশে-প্রবাসে সমালোচিত।
ফলে ড. মোমেন ও আবদুস সোবহান গোলাপের এই পতনে প্রবাসীরা বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও খুশি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।