নোয়াখালীতে ধর্ষিত নারীর মৃত্যুসংবাদ বিএনপির-জামায়াতের গুজব
নিজস্ব প্রতিবেদক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৩:১২ পিএম, ২ জানুয়ারি ২০১৯ বুধবার
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দুর্বৃত্তদের হাতে ধর্ষণের শিকার নারী মারা গেছেন বলে সামাজিকমাধ্যমে যে খবর ছড়িয়েছে, তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক মো. খলিল উল্লাহ। ওই নারী বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে এই ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চর জব্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইব্রাহিমও এ ধরনের খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
যারা এই ঘটনা নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর সুবর্ণচরে চার সন্তানের এক জননীকে একদল দুর্বৃত্ত গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, গত ৩১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রতিবেশী সালাউদ্দিন নামের এক লোক অভিযোগকারীর বাড়িতে আসে এবং তার নাম ধরে ডাকে। এ সময় তার স্ত্রী দরজা খুলে দিলে অভিযুক্তরা জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে পূর্বশক্রতার জেরে তাকে ও তার স্ত্রীকে মারতে থাকে।
একপর্যায়ে তারা অভিযোগকারী ও তার সন্তানদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। পরে তার স্ত্রীকে একটি পুকুরপাড়ে নিয়ে গণধর্ষণ করে।
এছাড়া অভিযুক্তরা চলে যাওয়ার আগে অভিযোগকারীর বাড়িঘর ভাঙচুর করে বলেও মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এরইমধ্যে এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন, তাকে কোনো ধরনের ছাড় দেয়া হবে না। শুধু নোয়াখালীর ধর্ষণের ঘটনাই নয়, সারাদেশের যেখানেই যারা অপরাধ করবে, সে যে দলেরই হোক, শাস্তি পেতেই হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে এই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- বাদশা আলম ওরফে বাসু এবং স্বপন।
অন্য অভিযুক্তরা হলেন- মো. সোহেল (৩৫), হানিফ (৩০), চৌধুরী (২৫), বেচু (২৫), আবুল (৪০), মোশাররফ (৩৫) এবং সালাউদ্দিন (৩৫)।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, রাতে রামগতির আজাদ নগর এলাকায় তার এক আত্মীয়র বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
