বুধবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ৯ ১৪৩২   ০১ রবিউস সানি ১৪৪৭

সাদিক আব্দুল্লাহর যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদের তথ্য চেয়েছে ইসি

নিউজ ডেস্ক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৪:১২ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এবং তার স্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও সম্পদের তথ্য চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রয়োজনে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের সহায়তা নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ তথ্য দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ইসির আইন-শাখা থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইসির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ রিটার্নিং অফিসারের কাছে দাখিল করা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত হলফনামায় নিজের এবং তার স্ত্রীর দ্বৈত নাগরিকত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদের ব্যাপারে তথ্য গোপন করেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এ অভিযোগ করে তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ইসিতে আপিল (আপিল নম্বর-০৮৬/২০২৩) দায়ের করেছেন একই আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহিদ ফারুক।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে ইসিতে শুনানি হয়। শুনানিতে সাদিক আবদুল্লাহ এবং তার স্ত্রীর দ্বৈত নাগরিকত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদের তথ্য সংগ্রহের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। প্রয়োজনে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের সহায়তা নিতে বলা হয়। এসব তথ্য দাখিল সাপেক্ষে আগামী ১৫ ডিসেম্বর আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে ইসি। এমনকি এ তথ্য সংগ্রহ করে জরুরি ভিত্তিতে আগামী বৃহস্পতিবারের (১৪ ডিসেম্বর) মধ্যে পাঠানোর জন্য বলেছে সংস্থাটি।

নির্দেশনায় বলা হয়, সাদিক আবদুল্লাহর বাংলাদেশি পাসপোর্ট নম্বর বিজিডি-এ০৭৭৬০১৮। আর যুক্তরাষ্ট্রের ভোটার সিরিয়াল নম্বর হলো ভিএসএন : ৪১০৯০৪০০৭। ঠিকানা ৮৯-৬৮, ২১৬ কুইন্স ভিলেজ, নিউইয়র্ক ১১৪২৭, নিউইয়র্ক সিটি।

গত ৬ ডিসেম্বর সাদিক আবদুল্লাহর মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিরুদ্ধে আপিল করেন বরিশাল-৫ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুক।

এদিকে, শনিবার (৯ ডিসেম্বর) জাহিদ ফারুকের প্রার্থিতা বাতিলের জন্য আপিল করেন সাদিক আব্দুল্লাহ। জাহিদ ফারুকের বিরুদ্ধে হলফনামায় মামলার তথ্য গোপন করার অভিযোগ তোলেন তিনি। তার আবেদনের শুনানি হবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর।

নির্বাচন উপলক্ষ্যে ৩০০টি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছিলেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিল করা মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিল করা মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ। আর বাতিলের খাতায় অধিকাংশই স্বতন্ত্র, এ সংখ্যা ৪২৩ জন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আপিল জমা পড়েছে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানি করে আপিলগুলো নিষ্পত্তি করবে ইসি।