মঙ্গলবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৩ ১৪৩২   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শেখ হাসিনাকে সমর্থন

বাংলাদেশ প্রশ্নে ভারত চীনের একই সুর

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৩:৪১ এএম, ১১ নভেম্বর ২০২৩ শনিবার


বিশেষ প্রতিনিধি, নিউইয়র্ক   -
বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনী ইস্যুতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার সরকারকেই সমর্থন করছে এশিয়ার দুই বৃহৎ শক্তি ভারত ও চীন। দেশ দুটি পরপস্পর বিরোধী হলেও বাংলাদেশ প্রশ্নে তারা একই সুরে কথা বলছে।
ভারতের অবস্থান: ভারত বলেছে, ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ভারত সম্মান করে। পাশাপাশি ভারত এ কথাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশকে স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভারত তার সমর্থন অব্যাহত রাখবে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বৃহস্পতিবার প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি।
অরিন্দম বাগচি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সে দেশের জনতাই তাঁদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন। তবে ভারত সে দেশের একটি ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহযোগী। সেই হিসেবে সে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি ভারত শ্রদ্ধাশীল। একটা স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে ভারত সমর্থন জানিয়ে যাবে।
বাংলাদেশের নির্বাচন ঘিরে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কিছুটা বিপরীতমুখী। বাংলাদেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ভিসা নীতিসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।
চীনের বক্তব্য: ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, সংবিধান ও আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে নির্বাচন চায় চীন। বাংলাদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। তাই নির্বাচন নিয়ে বাইরের কোনো দেশের হস্তক্ষেপ আমরা চাই না। বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকায় বনানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। চীনের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ‘বিআরআইয়ের’ ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সেমিনারের আয়োজন করে কূটনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ডিক্যাব ও চীনা দূতাবাস। অনুষ্ঠানে চীনা উদ্যোক্তাদের সংগঠন সিইএবির প্রেসিডেন্ট কে চেংলিয়াং বাংলাদেশে তাদের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আরও বলেন, ‘নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেখতে চায় চীন।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের নীতি খুবই পরিষ্কার। কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমরা হস্তক্ষেপ করি না। আমরা আশা করি আগামী নির্বাচনের পরও বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা থাকবে এবং আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো বলতে পারবে। তবে চীন বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা চায়। নির্বাচনের সময় সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা জরুরি। চীনের প্রত্যাশা সব অংশীদার মিলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে।’