শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ১৬ ১৪৩১   ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

যে কনসার্টে গাইতে টাকা নেবে না কোন শিল্পীরা

নিউজ ডেস্ক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:২৯ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০২৩ বুধবার

শান্তি ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রচারে বাংলাদেশের একদল তরুণ শিল্পী গড়ে তুলেছে ‘আর্টিস্ট এগেনেস্ট জেনোসাইড’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। এ প্ল্যাটফর্ম থেকে এবার তারা যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। ‘টু গাজা ফ্রম ঢাকা’ শীর্ষক একটি ফান্ড রাইজিং কনসার্টের আয়োজন করেছেন তারা। দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড ও শিল্পীরা অংশ নেবেন এতে।

আগামী ২৪ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে কনসার্টটি হওয়ার কথা রয়েছে। এ কনসার্ট থেকে সংগৃহীত অর্থ পাঠানো হবে ফিলিস্তিনের অসহায় নাগরিকদের খাবার ও চিকিৎসা সামগ্রীর জন্য।

‘টু গাজা ফ্রম ঢাকা’ কনসার্টে ১৫ টির মতো ব্যান্ড ও সংগীতশিল্পী গান পরিবেশন করবেন। ইতিমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে ব্যান্ড মাকসুদ ও ঢাকা, বাংলা ফাইভ, কার্নিভাল এবং জোয়াদ রেজা চৌধুরী, মাশা ইসলাম, র‍্যাপার শাফায়েত ও গায়ক আসির আরমানকে।

কয়েক দিনের মধ্যে দেশের আরও কিছু জনপ্রিয় ব্যান্ড ও শিল্পীরা যোগ দেবেন এ আয়োজনে। কনসার্টের পাশাপাশি কার্টুনিস্ট মোরশেদ মিশু ঢাকা শহরের দেয়ালে দেয়ালে ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী গ্রাফিতি আঁকবেন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ কনসার্টে গাওয়ার জন্য সংগীতশিল্পীরা কোনো পারিশ্রমিক নিচ্ছেন না। এছাড়াও, কনসার্টের টিকিটের দাম রাখা হয়েছে ৫০০ টাকা।

যদি কেউ এর বেশি অর্থসাহায্য করতে চান, সে ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে, কনসার্টের অন্যতম আয়োজক সংগীতশিল্পী আহমেদ হাসান সানি জানান, ‘আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ও বহু শিল্পী পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে এই একই কথা বলেছেন—গণহত্যা বন্ধ করো। আমরা তাঁদেরই উত্তরসূরি। তাঁদের সেই বলার সাহস নিয়েই আর্টিস্ট এগেনেস্ট জেনোসাইড ফ্রন্ট থেকে আমাদের এ আয়োজন। এখানে যেকোনো শিল্পী তাঁর যেকোনো কাজ নিয়ে আমাদের সঙ্গী হতে পারবেন।

হোক ছবি আঁকা, দেয়ালচিত্র তৈরি বা যেকোনো কিছু।’
সানি আরও জানান, ‘এই কনসার্টের উদ্দেশ্য মানুষকে একত্রিত করা এবং সহানুভূতি জাগিয়ে তোলা। এ কনসার্ট থেকে অর্জিত অর্থ দিয়ে ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত অসহায় বেসামরিক মানুষদের পাশে আমরা দাঁড়াতে চাই। যদিও তা সামান্য, কিন্তু এরপরও শিল্পীদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমরা পাশে থাকতে চাই। আমরা চাই ‘‘টু গাজা ফ্রম ঢাকা’’র মতো পৃথিবীর অন্যান্য শহরেরও এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হোক।’