1. প্রচ্ছদ
2. লাইফস্টাইল

মুখে শুধু কালো দাগ বা কালো ছোপ ছোপ দাগই পড়ে না। এছাড়াও লালচে বা বাদামী রঙের ছোপও পড়ে থাকে। এগুলো সাধারণত রোদে বের হলে বেশি হয়। রোদে বের হলে ত্বক পুড়ে যায়। তখন ত্বকে এ ধরণের দাগ পড়ে। শুধু যে রোদে বের হলে হবে তা নয়। চর্মরোগ বা ডায়বেটিসের লক্ষণ হতে পারে। এ দাগ দূর করার জন্য অনেকে লেজার টিটমেন্ট করে থাকে। তবে সেটা অনেক খরচ ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। আবার সব সময় এ চিকিৎসা ত্বকের জন্য উপকারি নয়। এ কারণেই কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি জানলে বেশি উপকৃত হওয়া যায়। ত্বকের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নিন-

ঘোল ত্বকের জন্য খুবই উপকারি। ঘোলে রয়েছে ল্যাকটিক এসিড। তাই ত্বকে যদি কোথাও বাদামী বা কালচে দাগ পড়ে তবে সেখানে ঘোল মেখে রাখতে পারেন। তারপর যখন শুকিয়ে যাবে তখন হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে বেশ কিছুদিন ব্যবহার করলে আস্তে আস্তে দাগ হালকা যাবে। একটা সময় দাগ একদমই থাকবে। পাতি লেবুর রসও দাগ দূর করতে খুবই উপকারি। পাতি লেবুর রসে এমন কিছু উপাদান থাকে যেটা ত্বকের গাঢ় রঙকে হালকা করতে সাহায্য করে। সুতরাং, ত্বকে যেখানে দাগ পড়বে সেখানে একটু লেবুর রস লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু সময় পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে বেশ কিছু দিন ব্যবহার করলে আস্তে আস্তে দাগ দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও একটি পাতি লেবু মাঝ দিয়ে কেটে নিতে হবে। তারপর কালো দাগের স্থানে কিছু সময় লেবু দিয়ে ঘষতে হবে। এরপর কিছু সময় রেখে দিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে ব্যবহার করলেও ত্বকের দাগ একেবারে দূর হয়ে যাবে।

ডিমের কুসুম হলো প্রকৃতিক মশ্চারাইজার। এটা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই ত্বকের যেখানে দাগ পড়ছে সেখানে ডিমের কুসুম লাগাতে হবে। এভাবে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। তবে অনেক উপকার পাবেন। ক্যাস্টার অয়েল হলো শোষণ বর্ধক উপাদান। এটা বার্ধক্যজনিত দাগ দূর করতে খুবই উপকারি। তাই ক্যাস্টার অয়েল তুলোতে লাগিয়ে মুখে ম্যসাজ করতে হবে। এভাবে কিছু সময় অপেক্ষা করে ধুয়ে নিতে হবে। নিয়মিত ব্যবহার করলেও ত্বকের দাগ একেবারেই চলে যাবে। চন্দন গুঁড়ো বলিরেখা দূর করতে খুবই উপকারি একটি উপাদান। চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে গ্লিসারিন ও লেবুর রস মিশাতে হবে। এরসঙ্গে একটু গোলাপ জল মিশিয়ে একটা প্যাক বানিয়ে নিতে হবে। এ প্যাকটি মুখে ভালো করে লাগিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়ে হবে। এভাবে কিছু দিন ব্যবহার করলে ত্বকের বলিরেখা একদমই দূর হয়ে যাবে।

 

যেকোনো দাগ ও ছোপ তুলতে ভীষণভাবে সাহায্য করে অ্যালোভেরা জেল। ত্বকের কোথাও দাগ পড়লে সেখানে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে ৪৫ মিনিটের মতো অপেক্ষা করতে হবে। জেল শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে দু’মাসের মতো ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে অ্যালোভেরা জেল দিনে দু’বার ব্যবহার করতে হবে। চিনি ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। তাই ত্বকে হালকাভাবে চিনি ম্যাসাজ করতে পারেন। কিছু সময় ত্বকে চিনি দিয়ে ম্যসাজ করে ধুয়ে নিতে হবে। তবে ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত হবে। পেঁপে ত্বকের কালো দাগ দূর করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পেঁপেতে এক ধরণের এনজাইম থাকে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারি। তাই যেখানে দাগ পড়বে সেখানে টাটকা পেঁপে চটকে নিয়ে লাগাতে হবে। কিছু সময় পর পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তবে ত্বকে কোনো রকম দাগ ও ছোপ থাকবে না।

আধা গ্লাস লাল কিছমিছ পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এর সঙ্গে মধু ও লেবুর রস মেশাতে হবে। এ মিশ্রণটি মুখে ভালোভাবে লাগাতে হবে। প্যাকটি লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মতো অপেক্ষা করে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে সপ্তাহে দু’দিন ব্যবহার করলে অনেক ভালো ফল পাবেন। ত্বকে কোনো কালো দাগ পড়লে পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারেন। কারণ পেঁয়াজ ত্বকের বলিরেখা দূর করে থাকে। পেঁয়াজ মাঝ বরাবর কেটে কিছু সময় মুখে ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। তবে ত্বক দাগমুক্ত হয়ে যাবে। গোলাপ জল মুখের কালো দাগ দূর করতে খুবই উপকারি। মুখ ধোয়ার সময় গোলাপ জল দিয়ে মুখ ধুতে হবে। তবে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়ে যাবে ও ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বল হবে। সেই সঙ্গে ত্বকের কালো দাগও চলে যাবে। এছাড়া প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। কারণ পানি শরীরকে সচল করতে সাহায্য করে। এছাড়াও শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দিতে পারে পানি।

 

ত্বকের দাগ ও ছোপ দূর করার জন্য আলুর রসও খুবই উপকারি। আলু থেঁতলে রস বের করে নিতে হবে। এর সঙ্গে একটু মধু মেশাতে হবে। এরপর দাগের স্থানে লাগিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তবে ত্বকের দাগ দূর হয়ে যাবে। ত্বককে উজ্জ্বল করে টমেটো। ত্বকের মেলানিন নামক রঞ্জন পদার্থের ভারসম্য রক্ষা করে টমেটো। তাই মুখের কোথাও কালো দাগ পড়লে টমেটোর রস ব্যবহার করতে পারেন।