রোববার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ৫ ১৪৩২   ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

বডি ম্যাসেজে কোন তেল ব্যবহার করছেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৮:৩৮ পিএম, ১ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার

বডি ম্যাসেজের উপকারিতা ঢের। শীত হোক অন্য কোনো ঋতুতে শরীরকে সতেজ, তরতাজা, প্রাণবন্ত রাখতে বডি ম্যাসেজের গুরুত্ব কম নয়। এটি সব বয়সীদেরই পছন্দের। বিশেষ করে বডি অয়েল ম্যাসেজ শিশু, যুবক, বৃদ্ধ সব বয়সীদের জন্য খুব উপকারি। শীতকালে বডি অয়েল ম্যাসেজের জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। কিন্তু বডিতে যে তেল ব্যবহার করা হয় ম্যাসেজের জন্য সেটি আদৌ ভালোমানের কিনা, ত্বকের জন্য উপযোগী কি না তা আমরা অনেকেই জানিনা।

তেল বাছাইয়ের আগে অবশ্যই আপনার ত্বকের ধরণ বুঝতে হবে। যদি সঠিক তেল বাছাই করে নিতে পারেন, তাহলে আপনার ত্বকের অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন খুব সহজেই। ত্বক আর্দ্র, সুরক্ষিত ও কোমল থাকবে। পাশাপাশি ত্বকে বয়সের ছাপ সহজে পড়বে না। তবে তেল ভার্জিন এবং কোল্ড প্রেসড হলে ভালো হয়।কেনার আগে বোতলের গায়ে লেভেল পড়ে দেখে নিন তেলে মিনারেল অয়েল নামক উপাদানটির অস্তিত্ব আছে কিনা।যদি থাকে তবে তা বর্জন করুন। বডি ম্যাসেজের জন্য উপযোগী কিছু তেলের নাম জেনে নিন:

অলিভ অয়েল: যুগ যুগ ধরে বডি মাসাজ অয়েল হিসেবে রাজত্ব করে আসছে জলপাইয়ের তেল বা অলিভ অয়েল। এই তেলের ঘনত্ব একটু বেশি তাই খুব সহজে ত্বকের গভীরে প্রবেশ করেনা। তাই দীর্ঘ সময় ধরে যদি বডি মাসাজ করতে চান তবে এ তেলটি বাছাই করুন।

নারিকেল তেল: বডি মাসাজের জন্য সবচেয়ে উপকারী ও সহজলভ্য নারিকেল তেল। প্রায় সব বাড়িতেই এ তেল থাকে। এটি চিটচিটেও হয়না বা গন্ধও বের হয়না। ডিপ টিস্যু বা রিফ্লেক্সোলজি ম্যাসেজে এই তেলের ব্যবহার অধিক। দ্রুত ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে, কাপড়ে দাগও তৈরি করেনা, ত্বক আর্দ্র ও নরম রাখে, ত্বকের বলিরেখা দূর করে। বয়স ধরে রাখতে, ত্বককে টানাটান রাখতে এ বডি অয়েল মাসাজ অত্যন্ত কার্যকরী।

 

আমন্ড অয়েল বা কাঠবাদামের তেল: যাদের ত্বকে এলার্জি আছে, ত্বক লাল হয় ও চুলকানি হয় সেসব ত্বকের জন্য আমন্ড অয়েল কার্যকরী। খুব তাড়াতাড়ি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, রোদে পোড়া দাগ দূর করে, ত্বক সুস্থ রাখে ও পেশির ব্যাথা উপশমে দারুণ কার্যকরী আমন্ড অয়েল। তিলের তেল: প্রাচীন আয়ুর্বেদের গ্রন্থে ‘চরকসংহিতা' তে তিলের তেল মালিশের গুণাগুণের কথা উল্লেখ রয়েছে। রোদের ছোপ ছোপ দাগ, বলিরেখা, হাড় মজবুত ইত্যাদি রোগ সাড়াতে বডি মাসাজে ব্যবহৃত হয় এ তেল। তিলের তেল ঠাণ্ডা হওয়ায় আয়ুর্বেদে তা গরম করে লাগানোর পরামর্শ রয়েছে।

নিমের তেল: এই তেলের গুণাগুন সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নতি করে এই তেল। ত্বক আর্দ্র রাখে, ত্বকে ব্রণ ফুসকুড়ির সমস্যা থাকলে তা ভালো হয়ে যায় এ তেল ব্যবহারে। এছাড়াও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। ত্বকের প্রদাহজনিত ও সংক্রমক রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা যায় এ তেল ব্যবহারে। তাই শিশুর জন্য ও ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তির জন্য এ তেলের মাসাজ অত্যন্ত কার্যকরী।

সূর্যমুখীর তেল: সাধারণত এই তেলটি আমরা খেয়ে থাকি। কিন্তু কখনো কি বডি মাসাজে ব্যবহার করেছেন? এটি ত্বকের জন্য খুব কার্যকরী। বডি ম্যাসেজে এ তেল ব্যবহারের সময় ১ থেকে ২টি ই-ক্যাপসুল মিশিয়ে নিতে পারেন। এ তেল ত্বক আর্দ্র রাখে ও ত্বক মসৃণ করে। এ তেল বডি ম্যাসেজে ব্যবহার করলে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর হয় ও ত্বক সতেজ রাখে। বয়সের ছাপ পড়া রোধ করে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল হয়।