খালেদা চিকিৎসায় ঢাকায় মার্কিন চিকিৎসক দল
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৪:২৭ এএম, ২৮ অক্টোবর ২০২৩ শনিবার
ঢাকা প্রতিনিধি -
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় ঢাকায় গেছেন মার্কিন চিকিৎসক দল। তারা লিভার সিরোসিসের জটিলতায় বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি ‘টিপস’ সম্পন্ন করেছেন। বেগম জিয়ার চিকিৎসা বোর্ডের একজন সদস্য আজ বৃহস্পতিবার আজকালকে বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে টিপস (ট্রান্সজুগলার ইন্ট্রাহেপাটিক পোরটোসিসটেমিক সান্ট) প্রক্রিয়া শুরু করে চিকিৎসকদল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এই ইন্টারভেনশন শেষ হয়।’ ওই সদস্য আরো জানান, টিপস সম্পন্ন হওয়ার পর বেগম জিয়াকে সিসিইউতে রাখা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান রয়েছেন। খালেদা জিয়ার একজন ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, এর মধ্য দিয়ে তিনি কিছুটা ভালো অনুভব করবেন। সিরোসিসের জন্য যে ফুসফুসে পানি জমা ও শরীরে রক্তক্ষরণ তা বন্ধ হবে। তবে এটিই লিভার চিকিৎসায় স্থায়ী সমাধান নয়।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা বেশ কিছুদিন ধরেই বেগম জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্লান্টের কথা বলে আসছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে বেগম জিয়ার এই বিশেষ অপারেশন চলাকালীন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দারসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বেগম জিয়ার চিকিৎসায় গত বুধবার রাতে ঢাকায় আসেন মার্কিন তিন চিকিৎসক। তাঁরা হলেন জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হামিদ আহমেদ আব্দুর রব, জেমস পিটার অ্যাডাম হ্যামিলটন ও ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস।
তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রফেসর হামিদ রব জনস হপকিন্সের কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রামের পরিচালক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। আর সহযোগী অধ্যাপক জেমস পিটার হ্যামিলটন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলোজি বিভাগের পরিচালক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। ডা. ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস ইন্টারভেনশনাল অনকোলজি বিভাগের পরিচালক ও রেডিওলোজি অ্যান্ড রেডিওলোজিক্যাল বিশেষজ্ঞ। রাতেই দুজন চিকিৎসক খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান এবং মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফের তিন চিকিৎসক এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। আরেক দফা মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে ‘টিপস’ প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্ত নেন। গত ৯ আগস্ট থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়া।
