গুজবে সয়লাব গণমাধ্যম
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:৪৫ এএম, ২১ অক্টোবর ২০২৩ শনিবার
আজকাল রিপোর্ট
নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে গুজব বেশ ডালপালা মেলেছে। প্রথম দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হলেও এখন তা মূলধারার গণমাধ্যমেও ছড়ানো হচ্ছে। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে গুজব আরও বেশি ছড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের সামনে এটি এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু সংবাদকে শুধু গুজব বলা ঠিক হবে না। বরং এগুলোকে ইচ্ছাকৃত বিভ্রান্তি ছড়ানো বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের কালবেলা পত্রিকায় প্রধান সম্পাদক আবেদ খান এক লেখায় উল্লেখ করেন যে, এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের ওপর মার্কিন ঝড় বয়ে যাবে। প্রতিবেদনে তিনি আভাস দেন যে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় বন্ধ করে দিতে পারে। বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিকসহ একাধিক নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। বাংলাদেশকে কূটনৈতিকভাবে এক ঘরে করার পদক্ষেপ নিতে পারে দেশটি। বাস্তবে এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কথিত ঝড়ের কোনও আলামত দেখা যায়নি। উল্টো ঢাকা সফররত আইএমএফ মিশন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্ত বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে ছাড় দেওয়ার কথা জানিয়েছে। ফলে এহেন গুজব বিভিন্নভাবে বিভান্তি ছড়াচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলেভানের সঙ্গে গত ২৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের খবর দিতে গিয়ে কোনও কোনও সাংবাদিক কল্পনার আশ্রয় নিয়েছিলেন। ওই বৈঠকে কী ঘটেছিল সে সম্পর্কে একটি পত্রিকা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে চারটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে উল্লখে করা হয়। বাস্তবে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, এই চারটি বিষয়ের কোনওটি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়নি।
সম্প্রতি একটি অপরিচিত অনলাইনে খবর বের হয় যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আগামী ৩ নভেম্বরের মধ্যে ক্ষমতা ছেড়ে দেবার জন্যে আলটিমেটাম দেয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। বরং যুক্তরাষ্ট্র আগের অবস্থানে অর্থাৎ অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে মতামত দিয়ে যাচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবে হাজার হাজার মিথ্যাচার করা হচ্ছে। কারা এসব রটাচ্ছে তা স্পষ্ট নয়। দেশের ভেতরের কোনও বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষ এসব প্রচার চালানোর ইন্ধন দিতে পারে। আবার বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা তাদের নিজ নিজ দেশের স্বার্থে এসব প্রচার করে থাকে বলে অনুমান করা হয়।
