মঙ্গলবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩২   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শেখ হাসিনার ১৮ দিনের কূটনীতি নজিরবিহীন ঘটনা বাংলাদেশের

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০১:৪৫ এএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার

এই আঠোরো দিনে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ভারত, রাশিয়া, সৌদি আরব, আরব আমিরাত, আইএমএফের প্রধানসহ বিশ্বের একাধিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন রাষ্ট্রপ্রধান কখনো করেননি।

কূটনীতির প্রথমপর্ব শুরু হয় ২২-২৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত  ব্রিকস সম্মেলন থেকে।দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট ব্রিকসের সভাপতির দ্বায়িত্বপালনকারী রামপোসার আমন্ত্রণে ব্রিকসের সদস্য না হয়েও বাংলাদেশ অংশনেয় সম্মেলনে।  

এই সময়ে তিনি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শী জিনপিংয়ের সঙ্গে। বৈঠকটি হয় ১ ঘন্টা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,বৈঠকটি দুইদেশের বাণিজ্য সহযোগীতা নিয়ে হয়েছে। তবে এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোন বৈঠক হয়নি।

 এরপরপরেই রাশিয়ার পরলাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ বাংলাদেশ সফরে আসেন। তিনি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের সমারোচনা করে বক্তব্য দেন।

মাঝখানে দুটি সামরিক সংলাপও অনুষ্ঠিত হয়। একটি হয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যটি ভারতের সঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২ দিন ব্যাপি  বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সংলাপ হয়।  পরে সরকারের সঙ্গে আরো  ৭ ঘন্টা নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের সঙ্গেও প্রায় একই সময়ে ২দিনের প্রতিরক্ষা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর আমন্ত্রণে দিল্লী যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সঙ্গে তার মেয়েসহ পরিবারের অন্যসদস্যরাও অংশগ্রহণ করে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কন্যা সায়মা ওয়াজেদ, বোন শেখ রেহানা, রেহানা পুত্র রেদোয়ানও সেখানে যান।

জি ২০ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও শেখ হাসিনা ঘন্টাব্যাপি  দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠকে ৩টি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কোন বৈঠক না হলেও কন্যা সায়মা ওয়াজেদসহ শেখ হাসিনার সঙ্গে সেলফি তুলেন রাষ্ট্রপতি বাইডেন। ডিনার পর্বেও বাইডেন শেখ হাসিনার সঙ্গে কিছু কথা বলেন। তবে তাদের মধ্যে কি কথা হয়েছে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কোন বৈঠক হয়নি। তবে শেখ হাসিনার সঙ্গে ঋষি সুনাক হাঁটু গেড়ে বসে কিছু কথা বলেছেন। কি কথা হয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে ঋষি সুনাকের বিনয়ের প্রশংসা করেছেন অনেকেই। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম অবশ্য ঘটনার সমালোচনা করেছে।

শেখ হাসিনা জি ২০ সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন সৌদি যুবরাজ মোহম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে, আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট নাহিয়ানের সঙ্গে. আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ড. আলবার্টো ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে।

সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে আসেন  ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ। দুপুরে শেখ হাসিনা ভারত থেকে ফিরে সন্ধায় বিমান বন্দরে মাক্রোঁকে অভ্যর্থনা জানান শেখ হাসিনা। ১০ সেপ্টেম্বর মাক্রোঁ বৈঠক করেন শেখ হাসিনার সঙ্গে। বৈঠকে মাক্রোঁ বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন ও সরকারকে সহযোগীতার আশ্বাস দেন।