মঙ্গলবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩২   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

হাসিনাকে কী বার্তা দিলেন মোদি

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৩:১৯ এএম, ২৬ আগস্ট ২০২৩ শনিবার


আজকাল ডেস্ক -
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে এক নৈশভোজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাতে হেঁটে তার কাছে যান। ব্রিকসের বর্তমান চেয়ার এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা এই নৈশভোজের আয়োজন করেন। দুই নেতার অন্তরঙ্গ একটি হাস্যোজ্জ্বল ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পর চর্চা হচ্ছে, শেখ হাসিনাকে কী কোনো বার্তা দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি।  
‘শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বার্তা ভারতের’ গেল সপ্তাহে এমন খবরে সয়রাব হয়েছে পত্রিকাগুলো। বিভিন্ন গণমাধ্যম লিখেছে, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে ভারতকে পাশে পাচ্ছেন শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রকে পাঠানো এক কূটনৈতিক বার্তার বরাতে তেমনটাই জানাচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও প্রভাবশালী পত্রিকা আনন্দবাজার পত্রিকা ও জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে। সংবাদমাধ্যম দুটির ভাষ্য, নয়াদিল্লি মনে করছে, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার দুর্বল হলে তা ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র কারও পক্ষেই সুখকর হবে না। ওয়াশিংটনের মতো ভারত ও বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন চায় জানিয়ে ওই কূটনৈতিক বার্তায় নয়াদিল্লি বলেছে, হাসিনা সরকারকে অস্থির করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তা ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়ার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ইতিবাচক নয়।
ওয়াশিংটনকে দিল্লির বার্তা নিয়ে সমকাল শিরোনাম করেছেÑশেখ হাসিনাকে দুর্বল করলে ক্ষতি উভয়েরই। খবরে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনা সরকার দুর্বল হলে তা ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র কারও জন্যই সুখকর হবে না বলে মনে করে নয়াদিল্লি। একাধিক স্তরের বৈঠকে নয়াদিল্লি এ কথা জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসনকে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে সম্প্রতি একাধিক মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের সঙ্গে সহমত নয় ভারত। জি-২০ বৈঠকের আগে এক কূটনৈতিক বার্তায় বাংলাদেশ নিয়ে ভারত যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে তাতে কয়েকটি ভাগ আছে। কূটনৈতিক নোটে ভারত জানিয়েছে, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার দুর্বল হয়ে পড়লে ভূরাজনৈতিক দিক থেকে তা ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রÑকারো পক্ষেই সুখকর হবে না।
এসব বিবেচনায় ধারণা করা হচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আগ বাড়িয়ে নিজে থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হেঁটে গেছেন। পরক্ষণেই দুই নেতাকে সেখানে একান্তে কিছু আলাপ করতে দেখা যায়। এসময় তারা দুজনই ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কর্মব্যস্ততা সম্পর্কে সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কয়েক গজ দূরে থাকা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনার কাছে হেঁটে গিয়ে কুশল বিনিময় করেন এবং তারা কিছুক্ষণ পরস্পরের খোঁজখবর নেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট বুধবার রাতে জোহানেসবার্গের গ্যালাঘের এস্টেট, মিড্রান্ডে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আসা রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে এই নৈশভোজের আয়োজন করেন। নৈশভোজে শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট রামাফোসাসহ অন্য কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। মোমেন বলেন, খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এই কুশল বিনিময় হয়েছে।