মঙ্গলবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩২   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ভারতে যাচ্ছেন বাইডেন উৎসুক দৃষ্টি হাসিনার

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৩:১৫ এএম, ২৬ আগস্ট ২০২৩ শনিবার


আজকাল রিপোর্ট -
আগামী মাসে ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। বিভিন্ন সদস্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে বসবে চাঁদের হাট। আর সেখানেই অন্যান্যদের সঙ্গেই থাকবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার তাঁর ভারত সফরে সিলমোহর দিয়েছে হোয়াইট হাউস।  
ভারতের সঙ্গে আমেরিকার যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে সে বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই। গত জুনে আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জো বাইডেন তাঁকে যে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন তার সাক্ষী থেকেছে গোটা বিশ্ব। ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছাবার্তায় নিজেই জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসার বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন বাইডেন। অবশেষে মঙ্গলবার সরকারিভাবে সেই সফরের কথা জানিয়ে দিল হোয়াইট হাউস।
এদিন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়ের জানান, ‘আগামী ৭ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নয়াদিল্লিতে যোগ দেবেন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে। সেখানে জি-২০-র সদস্য দেশগুলির সঙ্গে যৌথভাবে আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন বিষয়ে, জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক উন্নতি নিয়ে আলোচনা করবে আমেরিকা। এই সম্মেলনে উঠে আসবে ইউক্রেন যুদ্ধের সামাজিক প্রভাব। কীভাবে বিশ্ব ব্যাংকের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়, দারিদ্র দূর করা যায় সেই বিষয়েও আলোচনা করা হবে।’
উল্লেখ্য, আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলা জি-২০ সম্মেলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে ভারত। এই সম্মেলনে বাইডেন যেমন আসছেন তেমনই আসার কথা চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়েরও। অর্থাৎ একই মঞ্চে দেখা যাবে বিশ্বের ৩ শক্তিশালী রাষ্ট্রনায়ক শি-মোদি-বাইডেনকে। এই সাক্ষাতের জন্যই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে গোটা বিশ্ব। কারণ গত ৩ বছর ধরে পূর্ব লাদাখ নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। যার রফাসূত্র এখনও মেলেনি। অন্যদিকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক বেজিংয়ের। লালফৌজের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন মোদি ও বাইডেন। ফলে ভারতের মাটি থেকে এই দুই মিত্র দেশ কমিউনিস্ট দেশটিকে সরাসরি কী বার্তা দেয় সেই দিকেই তাকিয়ে সকলে।
এদিকে, দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-২০ সম্মেলনে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন। আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতোমধ্যে ভারত হাসিনা সরকারের পক্ষে আমেরিকাকে বার্তা দিয়েছে বলে ভারতীয় বিভিন্ন পত্রিকা খবর দিয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সুস্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র চায় অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন। এজন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে তাদের কার্যপরিধি ও বিচরণ বাড়িয়েছে। বর্তমান সরকার এটি ভালভাবে দেখছে না। প্রকাশ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের বিরোধিতা করছে। এমন পরিস্থিতিতে চীনও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের কারোর হস্তক্ষেপ চায় না বলে জানিয়েছে। পক্ষান্তরে হাসিনা সরকারের প্রতি চীনেরও সমর্থন রয়েছে। এ অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভারত সফরে যাচ্ছেন। সেখানে শেখ হাসিনা-সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সাথে দেখা হবে। সরাসরি এ সাক্ষাতে ভারত বাইডেনকে কী বার্তা দেয় তার দিকে এখন উৎসুক দৃষ্টি শেখ হাসিনার।