সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নিহত ১
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০১:৩৪ এএম, ১৬ আগস্ট ২০২৩ বুধবার
কক্সবাজারের চকরিয়ায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীর সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় মো. ফোরকান (৫৮) নামে এক ব্যক্তি গুলিতে নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি পুলিশ ভ্যান, স্বাস্থ্য বিভাগের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে চকরিয়া স্টেশনের বায়তুশ শরফ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। জামায়াতে ইসলামীর দাবি, ওই ব্যক্তি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। তবে পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম সমকালকে বলেন, চকরিয়ায় জানাজা নিয়ে সংঘটিত ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, গায়েবানা জানাজা পড়তে বিকেল ৪টার দিকে মামা-ভাগিনার মাজারের দিকে যাচ্ছিলেন লোকজন। স্থান সংকুলানের কারণে সেখানে আগেই আরেকটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তাই কেউ কেউ নতুন করে জানাজা পড়তে যাচ্ছিলেন। আবার অনেকে জানাজা পড়ে ফেরত আসছিলেন। ওই সময় বায়তুশ শরফ সড়ক দিয়ে গাড়ি নিয়ে ঢোকেন চকরিয়া থানার ওসি জাবেদ মাহমুদ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শোভন দত্ত। ওই সড়ক দিয়ে তাদের যেতে দেখে জানাজায় অংশ নেওয়া জামায়াত-শিবির কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে ওসি ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার গাড়িতে হামলা করেন তারা। এ সময় উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে ২০-৩০ জন মুখোশ পরা ব্যক্তি ও অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। এতে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হন।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা সৈয়দ ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে আনার আগে ওই ব্যক্তি মারা যান। দেখে মনে হয়েছে, তাঁর মাথার পেছনে ছররা গুলির আঘাত লেগেছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, গায়েবানা জানাজা পড়তে কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারা জোর করে জানাজা পড়েছেন। মিছিল নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেছেন, গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমির আবদুল্লাহ আল ফারুক সমকালকে বলেন, পূর্ব নির্ধারিত সাঈদীর গায়েবানা জানাজা স্থগিত করা হলেও সাধারণ লোকজন এ নামাজের আয়োজন করেছেন।
