জেপি নেতা সালামকে ফেলে যাওয়া সেই গাড়ি জব্দ
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৩:৪৪ এএম, ২৩ জুলাই ২০২৩ রোববার
জাতীয় পার্টির (জেপি) কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম বাহাদুরকে যে গাড়ি থেকে ফেলে যাওয়া হয়, সেই লাল গাড়ি জব্দ করেছে পুলিশ। আজ শনিবার ঢাকার সাভার থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়।
পুলিশ বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গাড়িটির চালক মো. আজাদুল সরকার (৪০) পুলিশকে জানিয়েছেন, একজন রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাঁর গাড়িটি ভাড়া করা হয়।
গত শনিবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে আবদুস সালামের (৫২) লাশ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, শনিবার মধ্যরাতে লাল রঙের একটি প্রাইভেট কার থেকে এক তরুণ ও এক তরুণী সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে জেপি নেতা সালামের লাশ ফেলে যান। পরে পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর হাত ও হাতের কবজি ভাঙা ছিল এবং পায়ে ড্রিল মেশিন দিয়ে ছিদ্র করা হয়েছে।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জব্দ গাড়িটির চালক পুলিশকে জানান, অসুস্থ জামাইকে হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলে গাড়ি ভাড়া করেন এক নারী। হাসপাতালের সামনে এসে মা ও মেয়ে গাড়ি থেকে নেমে যান।
ওসি উৎপল বড়ুয়া বলেন, ‘জব্দ করা গাড়িটির চালক আজাদুল সরকারকে আমরা (পুলিশ) গ্রেপ্তার দেখাইনি। তবে এ ঘটনায় তাঁর কোনো সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
এ ঘটনায় নিহত আবদুস সালামের ছোট ভাই আবদুল করিম রোববার শেরেবাংলা নগর থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
মঙ্গলবার মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থেকে সালামের কথিত বান্ধবী ও তাঁর মাকে গ্রেপ্তার করে শেরেবাংলা নগর থানা–পুলিশ। তাঁরা এখন পাঁচ দিনের রিমান্ডে আছেন।
পুলিশ বলছে, টাকা আদায়ে গত শনিবার সিঙ্গাইরে সালামকে আটকে রেখে মারধর করেন তাঁর কথিত বান্ধবী ও তাঁর সহযোগীরা। পরে একটি লাল রঙের প্রাইভেট কারে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে অচেতন অবস্থায় সালামকে ফেলে যাওয়া হয়। সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর।
পারিবারিক সূত্র জানায়, সালাম বাহাদুর জেপির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে। তিনি রাজধানীর ধানমন্ডির ২৭ নম্বর সড়কের একটি বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ঠিকাদারিও করতেন।
