বার্ষিক ৩ লাখ টাকা আয়ে মাথাপিছু ঋণ ৯৫ হাজার
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৬:৪১ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২৩ শুক্রবার
বাংলাদেশ রিজার্ভ নেমে ২৩ বিলিয়ন ডলার
ঢাকা প্রতিনিধি-
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ প্রায় ১৬ দশমিক ১৪ লাখ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৫ হাজার ১৯ টাকা। কিন্তু আয় এখনো মাথাপিছু ঋণের চেয়ে বেশি। দেশের জনগণের বর্তমান বার্ষিক মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৭৯৩ ডলার; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা।
অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় ঋণ ও জিডিপি অনুপাতের দিক থেকে বাংলাদেশ এখনো ভালো অবস্থানে। কিন্তু ঋণের সুদ পরিশোধ করতে জাতীয় বাজেটের বড় একটি অংশ ব্যয় হয়।
তিনি বলেন, আয় বেশি হলেও রাজস্ব সংগ্রহ কম হওয়ার কারণে ঋণের ঝুঁকি এখন মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে এবং বাণিজ্য ঘাটতির কারণে সরবরাহ শৃঙ্খলা ব্যাহত হওয়ায় সরকারের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা কমে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ঋণ ও জিডিপির অনুপাত বিবেচনায় এটি এখনো ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তবে একটি সমস্যা হলো রাজস্ব আয়ে ধীরগতি এবং দেশের সর্বনিম্ন কর ও জিডিপির অনুপাত।’
তিনি আরো বলেন, ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ঝুঁকির বিষয়গুলো হলো বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্কট, অলস ঋণের উচ্চহার, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ার প্রবণতা।
এদিকে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে নানা শর্ত পরিপালন করতে হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংককে। আইএমএফ থেকে বলা হয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে পরিমাণ রিজার্ভ দেখাচ্ছে তা সঠিক নয়। প্রকৃত রিজার্ভ আরো কম। তাই জুড়ে দেয়া আইএমএফের শর্তের মধ্যে অন্যতম ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আন্তর্জাতিক পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ গণনা করতে হবে।
আইএমএফের শর্ত পরিপালন করতে বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আন্তর্জাতিক পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ গণনা শুরু করেছে। আর এতেই প্রকৃত রিজার্ভ ৬৪০ কোটি ৬০ লাখ ডলার কমে গেছে। প্রকৃত রিজার্ভ কমে নেমেছে সাড়ে ২৩ বিলিয়ন ডলারের কাছে (২ হাজার ৩৫৬ কোটি ডলার)।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পাশাপাশি সমন্বিত রিজার্ভ দেখানো হয়েছে ৯ হাজার ৯৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এদিকে আন্তঃব্যাংকের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ ডলারের দর অভিন্ন করা হয়েছে। গত কয়েকদিন যাবত আন্তঃব্যাংকে ডলার দাম ১০৯ টাকা উঠে গেছে। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের আমদানি ব্যয়ও বেড়ে গেছে।
