মঙ্গলবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩২   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৬:২৯ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২৩ শুক্রবার


ঢাকা প্রতিনিধি -
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বেসামরিক নিরাপত্তা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর অঙ্গীকারের কথা জানান। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী অবাধ, সুুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অঙ্গীকার করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব সময়ই দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্যে লড়াই করেছি এবং এরই মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করেছি।’ আন্ডারসেক্রেটারি আজরা জেয়া বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকারকে সহায়তা করতে তাঁর দেশ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, ‘কোনো দলের প্রতি আমাদের কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।’
শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ছাত্রজীবন থেকে এবং বঙ্গবন্ধু পরিবার ও আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকারের জন্য সব সময়ই লড়াই করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময়ই জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকারের জন্য লড়াই করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপিই দেশে ভোট কারচুপি শুরু করেছিল। এটি বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তন করেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, নির্বাচনের জন্য স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স চালু করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিমের বরাত দিয়ে বাসস জানায়, আজরা জেয়ার সঙ্গে আলোচনায় শেখ হাসিনা ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে বিএনপি এবং তাদের মিত্রদের নৃশংসতা, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও অগ্নিসংযোগের কথা স্মরণ করেন। এই নৃশংসতায় প্রায় ৫০০ লোক নিহত হয়েছিল।
মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি বলেছেন, তিনি রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জোরদার করার ওপর জোর দেন।
আজরা জেয়া জানান, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা শিবির পরিচালনার খরচের জন্য প্রায় সাত কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার দেবে।
বাংলাদেশে এত বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য তিনি শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আজরা জেয়া প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তাঁর দেশ বাংলাদেশের আর্থিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা করবে।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে নিরাপত্তাব্যবস্থা আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। সংকটের অবসান ঘটাতে এবং রোহিঙ্গাদের সব কিছু জানিয়ে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই উপায়ে নিজ মাতৃভূমিতে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের পরিবেশ তৈরি করতে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সামরিক কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ বজায় রেখেছে।
শ্রম ইস্যু নিয়ে কথা বলার সময় আজরা জেয়া বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শ্রম সংস্কার উদ্যোগে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করবে। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, শ্রমিকদের মজুরি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে তিনি ব্যক্তিগতভাবে শিল্প মালিকদের উদ্বুদ্ধ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।