বুধবার   ১৯ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩২   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

মসলার দাম এক বছরে দ্বিগুণ

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:১০ এএম, ২৫ জুন ২০২৩ রোববার

বর্তমানে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা। অথচ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, ২০২২ সালের ২২ জুন প্রতি কেজি জিরা সর্বনিম্ন ৩৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে জিরার দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। শুধু জিরাই নয়, কোরবানির ঈদের আগে অন্যান্য মসলাও মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। দেশি পেঁয়াজ, রসুন, শুকনা মরিচ, হলুদ, আদা, দারুচিনিসহ বেশির ভাগ মসলার দামই বেড়েছে। তার মধ্যে ক্ষেত্রভেদে আদা ও রসুনের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। শনিবার (২৪ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে মসলার দাম বাড়ায় কোরবানির ঈদে মানুষের ওপর চাপ আরও বাড়বে। দেশে আদার বড় জোগানদার চীন। কিন্তু বেশি দাম হওয়ায় চীনের আদা এখন দেশে নেই। ভারতের আদাও এখন বাজারে কম। মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার আদা মানভেদে পাইকারি দাম ১২০ থেকে ২৫০ টাকা। আর তা খুচরায় প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। অথচ টিসিবি বলছে, এক বছর আগেও এসব আদা ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে খুচরায় বিক্রি হয়েছে।

এক বছর আগে দেশি শুকনা মরিচ যেখানে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা ছিল, তা এখন ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা কেজি। খুচরা বাজারে বিদেশি শুকনা মরিচ ৪৮০ টাকা।

সরকার আমদানির অনুমতি দেওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজে ঝুকছে ক্রেতারা। তবে দেশি পেঁয়াজের দাম কমেনি। শ্যামবাজারে দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬১ টাকা কেজি, খুচরা বাজারে তা ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। টিসিবিতে গত বছর দেশি পেঁয়াজ ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। কারওয়ানবাজারে দেশি রসুন ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২০২২ সালের ২২ জুন টিসিবির হিসাবে দেশি রসুন বিক্রি হয় ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ টাকায়। অর্থাৎ ক্ষেত্রভেদে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে রসুনের দামও।

শ্যামপুর ও সূত্রাপুর বাজারে প্রতি কেজি ধনিয়া ১৬৫ থেকে ২২০ টাকায়, লবঙ্গ  দেড় থেকে ১ হাজার ৬০০ এবং দারুচিনি ৪১০ থেকে ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর টিসিবির হিসাবে বছরখানেক আগে ধনিয়া ১২০ থেকে ১৫০, লবঙ্গ ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ এবং দারুচিনি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।