বাংলাদেশ নিয়ে কী কথা হলো
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:৩২ এএম, ১৭ জুন ২০২৩ শনিবার
আজকাল-এর রিপোর্ট নিয়ে
দেশে-বিদেশে আলোচনা
ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা
উপদেষ্টার বৈঠক
আজকাল রিপোর্ট -
গত সপ্তাহের আজকাল এর প্রধান শিরোনাম ‘বাইডেন-মোদী বৈঠকেই হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ?’ শীর্ষক প্রতিবেদন দেশে-বিদেশে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই রিপোর্ট প্রকাশের পর বাংলাদেশ ও ভারতের একাধিক পত্রিকায় এ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ হয়। সেসব রিপোর্টে আজকাল-এর ওই রিপোর্টের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়। ঢাকায় আজকাল-এর বিশেষ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গত সপ্তাহের রিপোর্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এরআগে ‘৫১ জনের ভিসা বাতিল’ শিরোনামে আজকালের অপর একটি রিপোর্টও ভাইরাল হয়েছিল।
সাপ্তাহিক আজকাল এর গত ৯ জুনের সংখ্যায় বাংলাদেশের দ্বাদশ নির্বাচন প্রসঙ্গে বলা হয়, ২৪ জুন জুনের ওয়াশিংটন ডিসেতে দুদেশের সরকার প্রধানের বৈঠক ও যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার দিকে তাকিয়ে আছে ঢাকা। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা তথা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্বার্থে ২০২৪ সালের বাংলাদেশের নির্বাচনে হাসিনাকেই চায় মোদী সরকার।
আজকাল এর ওই রিপোর্টটি প্রকাশের পর বিষয়টি অনেকটাই খোলামেলা। যুক্তরাষ্ট্রের মত পাল্টাতে ইতোমধ্যে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেছে ঢাকা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেন তাঁর আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র সফরে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে অনুরোধ করেন শেখ হাসিনার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি না করার জন্যে তেমন অনুরোধ ঢাকার তরফে দিল্লিকে করা হয়েছে। কিন্তু মোদির অনুরোধ কি রক্ষা করবে ওয়াশিংটন সেই প্রশ্নের সুরাহা এখনও হয়নি। তবে ভারতের জাতীয় স্বার্থে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রতিবেশী দেশগুলোকে ঘিরে এমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া উচিত হবে না বলে মনে করে দেশটি।
বুধবার মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ মনোভাবের কথা জানিয়েছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত দোভাল। খবর ইকোনমিক টাইমসের।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে এশিয়া এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলে (আইওআর) চীনের ভূমিকার দিকে মনোযোগ ছিল বেশি। তবে এ আলোচনায় বাংলাদেশের পাশাপাশি মালদ্বীপ ও পাকিস্তানের নানা বিষয়ও উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের দুই প্রতিবেশী দেশ মালদ্বীপে এ বছরের শেষের দিকে এবং বাংলাদেশে আগামী বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভারত মনে করে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া উচিত নয়, যা তাদের জাতীয় স্বার্থে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
ইকোনোমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চীনের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের ওপর সুনির্দিষ্ট ফোকাসসহ এশিয়াজুড়ে বেইজিংয়ের বিস্তৃত পদচারণার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলোর অন্যান্য আঞ্চলিক বিষয়ও আলোচনায় উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের পাশাপাশি মিয়ানমারে অর্থনৈতিক করিডোরের মাধ্যমে চীন নিজের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। আগামী বছরগুলোতে বেইজিং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে শক্তি প্রদর্শন করবে।
দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে চীনের আঞ্চলিক দাবি এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে বেইজিংয়ের প্রভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রও চিন্তিত।
ভারত মহাসাগরে আধিপত্য বিস্তারে চীনের সব ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে এবং বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা ছাড়া হিমালয়ের অন্য দেশগুলোতেও চীন আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে।
