বৃহস্পতিবার   ০৯ মে ২০২৪   বৈশাখ ২৬ ১৪৩১   ০১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ৩৫ লাখ মামলা প্রত্যাহার

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৭:১৪ এএম, ৩ জুন ২০২৩ শনিবার

বরফ গলতে বিএনপি’র দুই শর্ত

   
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা থেকে
শেখ হাসিনার অধীনে কোনও নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। এখন পর্যন্ত এই দাবিতে অনঢ় দলটি। তবে যে কোনও পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যেতে পারে। নতুন পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে পারে যে কোন রাজনৈতিক দল। এমন ক্ষেত্রে বিএনপি কী করবেÑপ্রশ্ন অনেকের মনে। বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিএনপি ও তার বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৩৫ লাখ রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করা হলে বরফ গলতে পারে। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানের বাইরে নির্বাচন করতে মোটেও রাজি নয়। সংবিধানের আওতার মধ্যে থাকা মানে হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রেখে নির্বাচনে যাওয়া। বর্তমান অবস্থায় বিএনপি আলোচনায় বসতেও রাজি নয়। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাগারে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে নির্বাসিত জীবন-যাপন করছেন। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দলের কোনও নেতাই নিতে পারছেন না। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিলে এবং রাজনৈতিক মামলাগুলো প্রত্যাহার হলে আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। তখন মাঠ প্রশাসনে সমান ক্ষেত্র সৃষ্টি হলে শেখ হাসিনার অধীনেও বিএনপি’র নির্বাচনে যাওয়া অসম্ভব নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের তরফে আগাম ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবার কারণে বিএনপি ও তার বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের মধ্যে চাঙ্গাভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যদিও মার্কিন সূত্রগুলো বলছে, বিএনপি’র প্রতিও ওয়াশিংটনের মনোভাব খুব একটা যুৎসই নয়। ২০১৮ সালে নির্বাচনে ভরাডুবির পর বিএনপি’র বড় নেতারা অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেছেন। তারা বিশে^র বৃহৎ অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তির দেশটিকে ‘হিপোক্রেট’ বলেও মন্তব্য করেছেন। ওইসব নেতারা বলে বেড়ান যে, আমেরিকা তাদেরকে মাঠে নামিয়ে শেষ পর্যন্ত সরে গেছে। এসব মন্তব্য আমেরিকার নীতি-নির্ধারণী মহলে সমালোচিত হয়। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্র এখন আর ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ কিংবা ‘সবার অংশগ্রহণে’ নির্বাচন বলে না। যুক্তরাষ্ট্র চায় ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে তারা পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। জুলাই মাসে ইইউ’র প্রাক-পর্যবেক্ষণ মিশন বাংলাদেশে আসবে। তারা পর্যালোচনা করে গ্রীন সিগন্যাল দিলে ইউরোপের দেশগুলো বড় পর্যবেক্ষণ দল পাঠাবে।