বৃহস্পতিবার   ০৯ মে ২০২৪   বৈশাখ ২৬ ১৪৩১   ০১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আমেরিকার ‘ধমকে’ প্রথম কুপোকাত আজম

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:৫০ এএম, ২৭ মে ২০২৩ শনিবার


 
ঢাকা অফিস
আমেরিকার ‘ধমকে’ প্রথম কুপোকাত হলেন গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমত উল্লা খান। রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ততা নেই এমন একজন বৃদ্ধা মা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের কাছে ষোল হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন তিনি।
রাজধানী ঢাকা লাগোয়া গুরুত্বপূর্ণ জেলা গাজীপুর সিটির নির্বাচন। এমনিতেই নির্বাচন ঘিরে মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি ছিল না। যদিও বিএনপি নির্বাচনে প্রার্থীতা দেওয়া থেকে বিরত ছিল। নির্বাচনের আগের দিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংরাদেশের বিরুদ্ধে আগাম ভিসা নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে। আমেরিকার এ হুশিয়ারির পর নড়ে-চড়ে বসেন দেশের রাজনীতিবিদরা। পর্যবেক্ষক মহলও বসে ছিলেন সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য। যা হবার তাই হয়েছে, একজন দক্ষ রাজনীতিক হেরেছেন নিজ দলে আওয়ামী লীগরই বহিস্কৃত একজন বিদ্রোহী নেতার বৃদ্ধা মায়ের কাছে। তাও বিপুল ভোটে। এটিকে নীরব ভোট বিপ্লব বলা হচ্ছে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। স্বতন্ত্র এই প্রার্থী টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন জায়েদা খাতুন। তৃতীয় হওয়া ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান ৪৫ হাজার ৩৫২ ভোট পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে গাজীপুর জেলা পরিষদের ভবনের বঙ্গতাজ মিলনায়তনে ‘ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র’ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম এ ফল ঘোষণা করেন।
জায়েদা খাতুন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা। ফলাফল ঘোষণার সময় মিলনায়তনে উপস্থিত ছিলেন জায়েদা খাতুনের নির্বাচনী কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়কারী ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। মায়ের বিজয়ের পর জাহাঙ্গীর আলম তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই বিজয় কেবল তাঁর নয়, সব নগরবাসীর।
গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২, নারী ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১৮ জন।
নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫০। শতকরা ভোটের হার ৪৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এবার ৪৮০টি কেন্দ্রের ৩ হাজার ৪৯৭টি বুথের সব কটিতেই ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়।
নির্বাচনের অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ ভোট, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশীদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট এবং হাতি প্রতীকের সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।